Bangla News

মেয়েকে উত্ত্যক্ত করায় প্রতিবাদ করে মারধরের শিকার হয়েছেন এক বাবা

মেয়েকে উত্ত্যক্ত করায় প্রতিবাদ করে মারধরের শিকার হয়েছেন এক বাবা। এক বখাটে ও তাঁর সহযোগীরা তাঁর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই বখাটেকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর জামালপুর শহরের বাইপাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।ওই বখাটের নাম মো. ফিরোজ ইসলাম (২৩)। তিনি জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর এলাকার বাসিন্দা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জামালপুর সদরের ইউএনও লিটুস লরেন্স চিরান বলেন, ওই যুবক আহত ব্যক্তির মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন। এ ঘটনায় ওই যুবককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে পুলিশ তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জামালপুর শহরের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন ফিরোজ ইসলাম। ওই মেয়ের বাবা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে উত্ত্যক্ত না করার জন্য ফিরোজকে কয়েকবার সতর্ক করেছিলেন। গতকাল বিকেলে ওই ছাত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে তাকে উত্ত্যক্ত করছিলেন ফিরোজ। বিষয়টি দেখে ওই ছাত্রীর বাবা তাঁকে থাপ্পড় দেন। এতে ফিরোজ ক্ষুব্ধ হন।

পরে ফিরোজ তাঁর কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ওই ছাত্রীর বাবাকে রাস্তায় পেয়ে ব্যাপক মারধর করেন। এতে তাঁর মাথা ফেটে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ছাত্রীটির বাবাকে উদ্ধার করে। এ সময় তাঁরা বখাটে ফিরোজ ইসলামকে আটক করে স্থানীয় বিট পুলিশিং কার্যালয়ে রাখেন। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ফিরোজকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জামালপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটুস লরেন্স চিরান।

ছাত্রীর বাবা বলেন, সাব্বিরের পরিবারের লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য মেয়েসহ আমার পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সদর থানায় বুধবার দুপুরে জিডি  করেছি। তার পরিবারের নিরাপত্তা ও সাব্বিরসহ হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি।

আরও দেখুন
Back to top button
এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে ‘হানি ট্র্যাপ’ শিলাস্তি রহমান ‘Pushpa 2’ is coming to Bangladesh in Hindi ইব্রাহিম রাইসি যেভাবে ৫০০০ মানুষকে হত্যা করেছিলো