বাড়ি রাজনীতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জামায়াতে ইসলামী হঠাৎ নীরব কেন?

জামায়াতে ইসলামী হঠাৎ নীরব কেন?

0
জামায়াতে ইসলামী হঠাৎ নীরব কেন

কিছুদিন আগেও রাজনীতির মাঠে সরব ছিল জামায়াত। তারা বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচির সমান্তরালে কর্মসূচি ঘোষণা করত এবং তা প্রতিপালন করত। কিন্তু বিএনপির সবশেষ কর্মসূচিগুলোর সঙ্গে জামায়াতের কোন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। নামমাত্র কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি আলোচনায় থাকলেও খবর নেই জামায়াতের। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেকের মাথা ব্যথার কারণ যে জামায়াতে তারও বেখবর অবস্থা চলছে। রাজনীতিতে হঠাৎই যেন নীরব হয়ে গেল জামায়াত। কেন জামায়াত হঠাৎ করে নীরব হয়ে গেল এই প্রশ্ন এখন রাজনীতির খবর রাখেন এমন মহলের।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জামায়াতের নীরবতার পেছনের একাধিক কারণের কথা বলছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে দেওয়া নিবন্ধন বাতিলের বিষয়টি অনেকে সামনে আনছেন। তারা বলছেন যে, গত ১৯ নভেম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। অর্থাৎ জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধই থাকছে। এরপর থেকেই মূলত জামায়াত কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এবং নীরবতা পালন করছে।

কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়টি নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা হতাশা তৈরি করেছে। এরকম পরিস্থিতিতে মাঠে আন্দোলনের চেয়ে নির্বাচনের পর সরকারের সঙ্গে যদি একটি সমঝোতা করে স্পেস তৈরি করা যায় তাহলে রাজনীতি করার সুযোগ তৈরি হবে। এরকম ভাবনা থেকেই জামায়াত আপাত নির্বাচনের আগে নিজেদেরকে গুটিয়ে নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আবার কোনো কোনো মহল মনে করছে যে, বিএনপির সাথে পরামর্শ করেই হয়তো জাতায়াত এখন নীরবতা পালন করছে। কারণ জামায়াত যখনই রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছে এবং বিএনপির সাথে সমান্তরাল ভাবে কর্মসূচি করেছে তখনই আন্তর্জাতিক মহলে বিএনপির ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহল বিএনপিকে ভর্ৎসনা করেছে। কারণ একই দিনে জামায়াতও সমাবেশ করেছে এবং সেদিন রাজধানীতে নারকীয় তাণ্ডব ঘটেছে। আগে থেকেই জামায়াতের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষ করে পশ্চিমাদের তীব্র আপত্তি রয়েছে। ২০১৮ সালে যখন বিএনপি জামায়াতের সাথে জোট করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল সে সময়ও বিএনপি এনিয়ে পশ্চিমাদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিল। আর এ কারণেই পশ্চিমাদের পরামর্শে বিএনপি ২০ দলীয় ভোট ভেঙে দেয় এবং জামায়াতের সাথে এক ধরনের দূরত্ব রেখে চলছিল। কিন্তু এখন যখন আন্তর্জাতিক মহল আবার দেখেছে যে, জামায়াত বিএনপির সমান্তরালে কর্মসূচি দিয়ে আসছে তখন আন্তর্জাতিক মহল আবার উদ্বেগ প্রকাশ করে। এ রকম একটি বাস্তবতায় এবার বিএনপিই জামায়াতকে আপাত কর্মসূচি পালনে বিরত থাকতে আহ্বান করেছে বলে জানা গেছে। এখন দেখার বিএনপি আন্তর্জাতিক মহলের পরামর্শে জামায়াত থেকে কতদিন দূরত্ব বজায় রাখে নাকি আবার পশ্চিমাদের ফাঁকি দিয়ে সামনে জামায়াতকে সামনে নিয়ে আসে তাদের বি টিম হিসেবে।