বাড়ি Bangla News রিজার্ভের টাকা গেছে পায়রা বন্দরে

রিজার্ভের টাকা গেছে পায়রা বন্দরে

0
2022 10 27 200843

রিজার্ভের টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তিনি বলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল। রিজার্ভের টাকা গেছে পায়রা বন্দরে। রিজার্ভের টাকা গেছে দেশের জনগণের জন্য খাদ্য ও সার কিনতে। রিজার্ভের টাকা জনগণের কল্যাণে ও আমদানিতে ব্যয় হয়েছে। কেউ এই অর্থ আত্মসাৎ বা অপব্যবহার করেনি’।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা তৈরির লক্ষ্যে পায়রা বন্দরে ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধন করা অন্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আটটি জাহাজ, ছয় লেনের সংযোগ সড়ক ও একটি সেতু নির্মাণ।শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল) অর্থ ব্যবহৃত হয়েছে। এই অর্থ দিয়েই বন্দরের ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরি করেছি৷ বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড এটা দিয়ে পায়রা বন্দরের কাজটা আমরা শুরু করলাম৷ ভবিষ্যতে আমরা অবকাঠামো উন্নয়নে এই ফান্ড কাজে লাগাতে পারবো৷ তিনি বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন, আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না৷ ঠিকই আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারে নাই৷

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সরকার নদী ড্রেজিং করে এই নৌপথকে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত নিয়ে যেতে চায়। পাশাপাশি আসাম ও ভুটান পর্যন্তও এই নৌপথ চালু হতে পারবে। সরকার ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর নেপাল, ভুটান এবং ভারতকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এক পাশে মোহনা এবং এক পাশে চট্টগ্রাম বন্দর থাকায় এই পায়রা বন্দরও একসময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহাইল অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর ওপর অনুষ্ঠানে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।