বাড়ি রাজনীতি আওয়ামী লীগ ফখরুল সাহেবের নালিশের বিচার করার এখতিয়ার জাতিসংঘের নেই

ফখরুল সাহেবের নালিশের বিচার করার এখতিয়ার জাতিসংঘের নেই

0
ফখরুল সাহেবের নালিশের বিচার করার এখতিয়ার জাতিসংঘের নেই

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে গুম ও হত্যার বিচার করার এখতিয়ার জাতিসংঘের নেই। বুধবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ‘২০০৫ সালে ১৭ আগস্ট বিএনপি–জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার’ প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখনো শিক্ষা হয়নি। জাতিসংঘে একবার গিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে প্রধান কর্মকর্তাদের কারও সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাননি। নিচের দিকের কেরানিদের সঙ্গে বৈঠক করে নালিশ করে এসেছেন। বিএনপির নাম কী—বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। নালিশ পার্টির কাম কী—বিদেশে দেশের বদনাম করা। নালিশ করতে মির্জা ফখরুলের নাকের পানি, চোখের পানি একাকার হয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনি (বিএনপির মহাসচিব) মিশেল ব্যাশেলেতকে বলেছেন, আপনাদের নেতা–কর্মী গুম হয়েছেন, হত্যার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার নিন্দা করতে। এ জন্য জাতিসংঘকে তদন্ত কমিটি করতে বলেছেন।

ফখরুল সাহেব, আপনি বোধ হয় জানেন না, আপনি যে নালিশ করেছেন, এই নালিশের বিচার করার এখতিয়ার মিশেল ব্যাশেলেতের নেই। জাতিসংঘের নিয়মকানুন কি জানেন? কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মন্তব্য করার কোনো অধিকার নেই জাতিসংঘের।’

বাংলাদেশ কোনো দিনও ঋণের দেশ শ্রীলঙ্কা হবে না, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ কোনো দিনও পাকিস্তান হবে না—এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ঠিকানা বিএনপি। জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক ও কারখানা বিএনপি।

সমাবেশে আওয়ামী লীগের মঞ্চে কমপক্ষে দুই হাজার নেতা উপস্থিত উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগে নেতার ভিড়ে কর্মী চেনা কষ্ট। এটা যেন না হয়। নেতা একজন, তিনি শেখ হাসিনা। আমরা সবাই কর্মী। কর্মীরা পোস্টার লাগাবে, লিফলেট বিতরণ করবে।’

সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি বলছে, নির্বাচনে আসবে না। এই সরকারের সঙ্গেই নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশে সুষ্ঠু–সুন্দর নির্বাচন হবে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবেন। ২০১৫ সালের নির্বাচনে লেজ গুটিয়ে গুলশানের বাড়িতে খালেদা জিয়া গিয়েছিলেন, আরেকবার বিএনপিকে ঘরে তোলা হবে।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, এই দেশ জঙ্গিবাদের নয়, সন্ত্রাসের নয়। এই দেশ শান্তির, জনগণের, শেখ হাসিনার।