বাড়ি অপরাধ প্রবাসফেরতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়, প্রতারকচক্রের ছয় সদস্য গ্রেপ্তার

প্রবাসফেরতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়, প্রতারকচক্রের ছয় সদস্য গ্রেপ্তার

0
প্রবাসফেরতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় প্রতারকচক্রের ছয় সদস্য গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতারকচক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রবাসফেরতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করত চক্রটি। তারা জেলায় বেশ সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানায় পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরার আব্দুল আহাদ, ববিতা বেগম, নয়া পুকুরপাড়ের মো. সাজন, মজলিশপুরের লিপি আক্তার, ভাদুঘরের মশিউর রহমান, জেলার নাসিরনগর উপজেলার জহুরা বেগম। বুধবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

প্রবাসফেরত দুই ব্যক্তিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নগ্ন ভিডিও ধারণ, সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া এবং মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে একজনের মোবাইল ফোনে বেশ কিছু অশ্লীল ভিডিও পাওয়া যায়।

ভুক্তভোগী শাকিল মিয়া বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমাকে এক নারী ফোন দিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। এতে আমি রাজি না হলে সে আমাদের এলাকায় চলে আসে। সেখানে আমার এক পূর্বপরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে প্রতারণা করে জেলা সদরের এক বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে পাশাপাশি ঘরে আরেকজন প্রবাসফেরত ব্যক্তিকেও এভাবে আনা হয়। আমাকে নগ্ন করে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। এমনকি মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। ’

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, সরাইল উপজেলার অরুয়াইলের বাসিন্দা সৌদিপ্রবাসী শাকিল মিয়া ও সোহরাব মিয়াকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে নেওয়া হয়। তাদেরকে সেখানে নিয়ে নগ্ন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়াসহ হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

এসব হুমকি দিয়ে সোহরাবের পরিবারের কাছ থেকে ৬০ হাজার ও শাকিলের পরিবারের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে নেয় চক্রটি। এ ছাড়া শাকিলের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। ভুক্তভোগীর স্বজনদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে যায় পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শাকিল ও সোহরাবকে ছেড়ে দেয় প্রতারকচক্র।

পরে রাত ১টার দিকে পুলিশ ঘাটুরা এলাকার গৌতমপাড়ার মুন্সীবাড়ি ও শেরপুর এলাকা থেকে চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া সাজনের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে। মশিউর রহমানের কাছ থেকে পাওয়া মোবাইল ফোনে বেশ কিছু অশ্লীল ভিডিও পাওয়া গেছে, যা দেখে বোঝা যায় তারা এভাবে ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করে।