বাড়ি অর্থ ও বাণিজ্য লেনদেনে আসছে ৩ লাখ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বন্ড

লেনদেনে আসছে ৩ লাখ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বন্ড

0
tyutguj

চলতি মাসে শেয়ারবাজারে শুরু হবে ৩ লাখ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বন্ডের লেনদেন। ফলে ইকুইটির পাশাপাশি ডেবট ঋণের বাজারও সংযোজন হচ্ছে শেয়ারবাজারে। যা শেয়ারবাজারে ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়।

সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকের আমানতের মতোই বন্ডে বিনিয়োগ করলে কোনো ঝুঁকি ছাড়াই ন্যূনতম ৭ থেকে ৯ শতাংশ সুদ বা মুনাফা পাবেন বিনিয়োগকারীরা।বন্ডগুলো ‘এ’ ক্যাটাগরিতে শেয়ারবাজারে লেনদেন হবে। উদ্বোধনের দিন লেনদেন হবে ২৫৩টি বন্ডের, যার বাজার মূল্য ২ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। এই ট্রেজারি বন্ডে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও ব্রোকার হাউজের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন।

তার জন্য নতুন করে কোনো বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে না। তবে বিনিয়োগকারীদের ন্যূনতম ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। কারণ বন্ডের ইউনিটের ফেসভ্যালু হবে ১০০ টাকা। লট হবে দশ হাজারটি। সরকারি টেজারি বন্ডগুলোর মেয়াদ হবে যথাক্রম ২ বছর, ৫ বছর, ১০ বছর, ১৫ বছর এবং ২০ বছর।বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ (সিডিবিএল) এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এই বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, অর্থনীতিতে শেয়ারবাজারের অবদান বাড়াতে বন্ড মার্কেট চালু করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা হলো বন্ড মার্কেট। এই মার্কেটটি এতদিন ধরে অকেজো ছিল।

এটিকে জনপ্রিয় করতেই শেয়ারবাজারে লেনদেনের সুবিধা চালু করছি।তিনি বলেন, এখানে একটা অসুবিধা ছিল, একবার বিনিয়োগ করার পর বিপদ-আপদে পড়লেও নির্ধারিত সময়ের আগে বের হতে পারত না বিনিয়োগকারীরা। আমরা নিয়ম সংশোধন করে বন্ডগুলোকে লেনদেন যোগ্য করছি।বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আগামীতে বন্ড মার্কেটের সাইজ অনেক বড় হবে। এটা ইকুইটির অনেকগুণ বড় হবে। এতে দেশের জিডিপিতে শেয়ারবাজারের যে ১৫ শতাংশ অবদান রয়েছে তা বাড়বে।

টেজারি বন্ড কী, বিনিয়োগকারীরা কী পাবেন

ট্রেজারি বন্ড হলো সরকারি বিল বা বন্ড, যা একটি দীর্ঘমেয়াদি ঋণ। যার মেয়াদ ন্যূনতম দুই বছর থেকে ২০ বছর। এই বন্ডের মাধ্যমে সরকার শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে। এখানে বিনিয়োগ করলে টাকা হারানোর কোনো ঝুঁকি থাকবে না। বরং বছরে ৭ থেকে ৯ শতাংশ সুদ বা মুনাফা পাবেন বিনিয়োগকারীরা।

পাশাপাশি পাবেন কর রেয়াত।এতদিন এই বন্ড বিনিয়োগকারীরা কেনা-বেচা করতে পারতেন না শেয়ারবাজারে। শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকে কেনা-বেচা হতো। জনপ্রিয়তাও ছিল না। বন্ড মার্কেটে যাতে সব বিনিয়োগকারী অংশগ্রহণ করতে পারেন সেই লক্ষ্যে শেয়ারবাজারে এর লেনদেন শুরু হচ্ছে।সরকারের পাশাপাশি উদ্যোক্তারা বন্ড ছেড়ে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিতে পারবেন। এতে ব্যাংকের ওপর ঋণের চাপ কমবে