বাড়ি অপরাধ তোশকের নিচে ইয়াবা ও বন্দুক রেখে ঘুমান ছাত্রলীগ নেতা

তোশকের নিচে ইয়াবা ও বন্দুক রেখে ঘুমান ছাত্রলীগ নেতা

1
তোশকের নিচে ইয়াবা ও বন্দুক রেখে ঘুমান ছাত্রলীগ নেতা

তোশকের নিচে ইয়াবা ও অস্ত্র রেখে ঘুমাচ্ছিলেন কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাফিজ ইকবাল (২৪)। এই খবর চলে যায় র‌্যাবের কাছে। র‌্যাব নাফিজ যে বাড়িতে ছিলেন, সেই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা, অস্ত্র, কার্তুজসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনা ঘটেছে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে কক্সবাজার শহরের সৈকতসংলগ্ন লাইটহাউস এলাকায়।

এ বিষয়ে ১৫-কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার বিল্লাল উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাফিজ ইকবাল মাদক ব্যবসাসহ অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার কথা স্বীকার করেছেন। দুপুরে নাফিজকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করে ওই থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।

রোববার র‌্যাব ১৫-কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল উদ্দিন এই তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের নেতা নাফিজ ইকবাল কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। র‌্যাব বলছে, অভিযানের সময় নাফিজ ইকবালের কাছ থেকে ৩ হাজার ৯০০টি ইয়াবা, ১টি একনলা বন্দুক ও ৩টি কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে। নাফিজ দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। তাঁর নিয়ন্ত্রণে আরও কয়েকজনের চক্র ইয়াবা ব্যবসা করছে। ওই সব চক্রের সদস্যদেরও ধরার চেষ্টা চলছে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, একসময় তিনি (নাফিজ) শহর ছাত্রলীগের ১২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইয়াবা ও অস্ত্র তাঁকে ধরেছে। তদন্তে সত্য-মিথ্যা বেরিয়ে আসবে।জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, একসময় তিনি (নাফিজ) শহর ছাত্রলীগের ১২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইয়াবা ও অস্ত্র তাঁকে ধরেছে। তদন্তে সত্য-মিথ্যা বেরিয়ে আসবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহর ছাত্রলীগের একজন নেতা বলেন, নাফিজ ২০২০ সালের দিকেও ভালো ছিলেন। ২০২১ সালের দিকে তিনি শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী (পর্যটক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি) আশিক গ্রুপে যোগ দেন। আশিককে গ্রেপ্তারের পর নাফিজ আরেক সন্ত্রাসী রাসেলের সঙ্গে যোগ দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। এ কারণে তাঁকে ২০২১ সালে ছাত্রলীগের ওয়ার্ড সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে তাঁকে বহিষ্কারের কথা জানা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।