বাড়ি অপরাধ সাতকানিয়ায় ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় দুজনের মৃত্যু

সাতকানিয়ায় ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় দুজনের মৃত্যু

0
সাতকানিয়ায় ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় দুজনের মৃত্যু

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতায় আজ সোমবার দুজনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নে তাসিব (১৩) নামের এক কিশোর এবং বাজালিয়া ইউনিয়নে আবদুস শুক্কুর (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। আজ দুপুর ১২টার দিকে নলুয়া ইউনিয়নের বোর্ড অফিস কেন্দ্রের বাইরে তাসিবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার বাবার নাম জসিম উদ্দিন। সে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত।

সাতকানিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মুকিবুল হোসেন বলেন, বেলা ১১টার দিকে বাজালওলিয়া বোর্ড অফিস কেন্দ্রে শুক্কুর গুলিবিদ্ধ হন। দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

তাসিবের চাচা মিজানুর রহমান বলেন, কেন্দ্রের বাইরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর অনুসারীরা মারামারি করছিলেন। একপক্ষ তাসিবকে কারও সমর্থক মনে করে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাসিবের চাচা মিজানুর রহমান ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী।

নলুয়া ইউনিয়নের বোর্ড অফিস কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল মতিন বলেন, কেন্দ্রের বাইরে একজনের মৃত্যু হয়েছে।এদিকে সাতকানিয়ার বাজালিয়া ইউনিয়নে গুলিতে নিহত আবদুস শুক্কুর এই ইউপিতে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী তাপস কান্তি দত্তের অনুসারী।

এর আগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আজ সকালে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। দুই বিবদমান চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগের আকতার হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে এই অবস্থা চলে।এ ঘটনায় খাগরিয়া ইউনিয়নের দুটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এগুলো হলো খাগরিয়া গনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্র।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুই কেন্দ্রে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। প্রথমে লাঠিসোঁটা নিয়ে মারামারি হয়। এরপর দুই পক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে চড়াও হয়। গোলাগুলিতে ভোটকেন্দ্র থেকে সাধারণ ভোটাররা পালিয়ে যান।

গনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। চারদিক থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। এ অবস্থায় আমরা ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দিই। এর আগপর্যন্ত ২০০টির মতো ভোট পড়ে।’এই কেন্দ্র থেকে শ খানেক গজ দূরত্বে খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্র। ওই কেন্দ্রের বাইরেও দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয় প্রায় একই সময়ে। ওই কেন্দ্রেও ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।