বাড়ি অপরাধ ই কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির লকারে কি ছিল

ই কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির লকারে কি ছিল

0
ই কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির লকারে কি ছিল

রাজধানীর ধানমন্ডিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কার্যালয়ে আজ সোমবার বিকেলে দুটি লকার ভাঙা হয়েছে। সেখানে পাওয়া গেছে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের চেকবই, ফাইলপত্র ও আড়াই হাজার টাকা।প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল ও তাঁর স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। তাঁরা দুজন এখন কারাগারে।

বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ১৪ নম্বর সড়কের বাড়ির তিনতলায় ইভ্যালির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। প্রথম লকারটি ভাঙা শুরু হয় সোয়া তিনটার দিকে। লকারটি কাটতে গিয়ে একে একে নষ্ট হয় পাঁচটি ব্লেড। ছয় নম্বর ব্লেডে কাজ হয়।

লকার থেকে বের করা হয় মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৯৭টি ও সিটি ব্যাংকের ১০টি চেকবই। এ ছাড়া ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ কিছু পারিবারিক কাগজ পাওয়া যায়।এ সময় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘দামি কিছু নেই, সব ফালতু।’

ভবনটির নিচতলায় ইভ্যালির আরেকটি কক্ষ আছে। সেখানে এরপর যায় দলটি। ঘরটির ভেতরে অসংখ্য কাগজ, খাম, ভিজিটিং কার্ড, ম্যাগাজিন পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানে থাকা আরেকটি লকার খোলা শুরু হয় বিকেল ৪টা ৭ মিনিটে। সাড়ে চারটার দিকে লকারটি খোলা হয়।

দ্বিতীয় লকারটি খুলে ২ হাজার ৫৩০ টাকা, ইস্যু করা কিছু চেক, ফাইলপত্র, ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংকসহ অসংখ্য ব্যাংকের চেক।লকার খোলার সময় প্রতিষ্ঠানটির চার থেকে পাঁচজন কর্মকর্তা ছিলেন। তবে তাঁরা কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ জানিয়েছে, পর্ষদের পাঁচ সদস্য বেশ কয়েকবার কারাগারে গিয়ে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা রাসেলের কাছে লকারগুলোর কম্বিনেশন জানতে চান। তবে তাঁরা সে কম্বিনেশন জানতে ব্যর্থ হন। এরপর পর্ষদ লকার ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। আজ লকার ভাঙার সময় ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফসিয়া সিরাত উপস্থিত ছিলেন।

হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির পরিচালনার দায়িত্ব নেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ। ওই পর্ষদ গত তিন মাসে নয়টি বোর্ড সভার পাশাপাশি ইভ্যালির অর্থ ও সম্পদ উদ্ধারে নানামুখী কার্যক্রম নিয়েছে। পর্ষদ এ পর্যন্ত সিটি ও সাউথইস্ট ব্যাংকে থাকা ইভ্যালির দুটি অ্যাকাউন্ট এবং ২৪টি গাড়ি ও ৯টি গুদামের সন্ধান পেয়েছে।