বাড়ি এক্সক্লুসিভ ফ্লাইওভারে ফাটল, চট্টগ্রামে যান চলাচল বন্ধ

ফ্লাইওভারে ফাটল, চট্টগ্রামে যান চলাচল বন্ধ

2
ফ্লাইওভারে ফাটল চট্টগ্রামে যান চলাচল বন্ধ

চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারে র‌্যাম্পের দুটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ফ্লাইওভারের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালে যাতায়াতের অংশে যানবাহন ও মানুষ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।

এ নিয়ে স্থানীয় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান চান্দগাঁও থানার ওসি মইনুর রহমান। ওসি জানান, সোমবার রাতে ফেসবুকে ফ্লাইওভারের দুটি পিলারে ফাটলের একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। যা দেখে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বহদ্দারহাট মদিনা হোটেলের সামনের ওই পিলার দুটির ওপরের অংশের পুরোটা ফাটল দেখতে পান তাঁরা।

চান্দগাঁও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসরারুল হক বলেন, ফ্লাইওভারের যে র‌্যাম্পটি আবাসিকের মুখে নেমেছে সেখানে দুটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। মেয়র মহোদয় এ বিষয়ে প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলছেন। এরপর তিনি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।পিলারে ফাটলের খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর রাত থেকেই ঘটনাস্থলে শত শত মানুষ ভিড় করছে। তাদের চোখে-মুখে উৎকণ্ঠা, আতঙ্ক। ভয়ে কেউ ফ্লাইওভারের ওই অংশের নিচ দিয়ে চলাফেরা করছে না।

খবর পেয়ে রাতেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও স্থানীয় দুই কাউন্সিলর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তাঁরাও পিলারের নিচের অংশে থাকা অস্থায়ী দোকান ও বিভিন্ন গাড়িগুলো সরিয়ে দেন। পাশাপাশি একটি পিলারের অংশে ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহীন জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের পিলারে ফাটল ধরেছে এমন সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। আপাতত যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ১১টা থেকে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালে যাতায়াতের ওই অংশ দিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

তবে শুলকবহর থেকে শাহ আমানত সড়কে যাতায়াতের অংশে যানবাহন চলাচল করছে। বিষয়টি সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএকে জানানো হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, বিষয়টি জেনেছি। সিডিএর টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ফ্লাইওভার পর্যবেক্ষণ করছেন। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের স্টিলের গার্ডার ধসে পড়ে ১৭ জন নিহত হয়। হঠাৎ করে তিনটি গার্ডার নির্মাণের সময় ফ্লাইওভার (ওভারপাস) থেকে পড়ে যায়।এর আগে ওই বছরের ২৯ জুন বহদ্দারহাটের এই নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার থেকে ১৩০ ফুট দীর্ঘ কংক্রিটের গার্ডার ভেঙে পড়ে। এরপরও ২০১৭ সালে নকশা পরিবর্তন করে বাস টার্মিনালমুখী র‌্যাম্প নির্মাণ করে সিডিএ।