বাড়ি এক্সক্লুসিভ নদীগর্ভেই বিলীন প্রতাপনগরের বায়তুন নাজাত জামে মসজিদ

নদীগর্ভেই বিলীন প্রতাপনগরের বায়তুন নাজাত জামে মসজিদ

3
নদীগর্ভেই বিলীন প্রতাপনগরের বায়তুন নাজাত জামে মসজিদ

প্রবল জোয়ারে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে প্রতাপনগর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী হাওলাদার বাড়ি বায়তুন নাজাত জামে মসজিদটি।শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মসজিদটি খোলপেটুয়া নদীর ভাটার টানে ভেঙে পড়ে। এর আগে গত ১০ আগষ্ট থেকে উপকূলীয় বাঁধ ভেঙে মসজিদটিতে পানি প্রবেশ শুরু করে। এরপর থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল মসজিদটি।

এর আগে গত ১০ আগস্ট থেকে উপকূলীয় বাঁধ ভেঙে মসজিদে পানি প্রবেশ শুরু করে। এরপর থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল মসজিদটি।প্লাবিত এলাকায় পানি সাঁতরে মসজিদটিতে আযান ও নামাজ আদায় করতেন মসজিদের ঈমাম ও খতিব হাফেজ মঈনুর রহমান। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর মানুষের হৃদয় আকৃষ্ট হয়। এলাকার মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য গত মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) নৌকার উপর বিশেষভাবে নির্মিত একটি ভাসমান মসজিদ উপহার দেন আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন। সেখানে একত্রে ৫৫ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।

আজ একেবারেই বিলীন হয়ে গেল মুসলমানদের ইবাদতের ঘর মসজিদটি। ফজরের নামাজের পর যখন নদীতে ভাটা শুরু হয় সেই পানির টানে মসজিদটি ভেঙে পড়ে।প্রতাপনগর হাওলাদার বাড়ি বায়তুন নাজাত জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব হাফেজ মঈনুর রহমান বলেন, ফজরের নামাজের পর মসজিদটি ভেঙে পড়েছে। অবকাঠামো একেবারেই বিলীন হয়ে গেছে। ধ্বংস স্তুপ হয়ে পড়ে রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সায়েদুল ইসলাম জানান, গত দুই মাস ধরে আমরা মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারিনি। পার্শ্ববর্তী বন্যতলা এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়। লোকালয়ের মধ্য দিয়ে নদীর জোয়ার ভাটা শুরু হয়। ভাঙনের কবলে পড়ে এলাকাও মসজিদটি। আজ একেবারেই বিলীন হয়ে গেল মুসলমানদের ইবাদতের ঘর মসজিদটি।ফজরের নামাজের পর যখন নদীতে ভাটা শুরু হয় সেই পানির টানে মসজিদটি ভেঙে পড়ে।

প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় বন্যতলা ভেঁড়িবাঁধটি ভেঙে যায়। এরপর থেকেই মানুষ পানিতে ভাসছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণে প্রতাপনগর ইউনিয়নটি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আজ জুমার দিন মসজিদটিও ভেঙে নদীতে চলে গেল।