জানা অজানা

স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায় খাবারে কৃত্রিম রঙের ব্যবহার

রমজান মাসে সারা দিন রোজা রাখার পর মুখরোচক খাবারের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। কেনা ইফতারিতে নানা ধরনের কৃত্রিম রং ব্যবহার করে থাকেন দোকানিরা। বিশেষ করে বেগুনি, পিঁয়াজু, চপ প্রভৃতি ইফতারসামগ্রীতে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়।

খাবারে ব্যবহৃত কৃত্রিম রং, শরীরের জন্য ভালো কী মন্দ তা নিয়ে বিতর্ক আছে।

কৃত্রিম রং থেকে ক্যান্সার হওয়ার অকাট্য কোনো প্রমাণ মেলেনি গবেষণায়। তবে ব্রিটেনে ২০০৭ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারে কৃত্রিম রঙের ব্যবহারে শিশুদের মনোযোগে ঘাটতি ও হাইপারঅ্যাক্টিভিটি তৈরি হয়।

প্রাচীনকাল থেকেই খাবারে রঙের ব্যবহার করে আসছে মানুষ। তবে এগুলো ছিল প্রাকৃতিক রং যেমন— পাপরিকা, হলুদ, জাফরান।

খাবারে কৃত্রিম রঙের ব্যবহার শুরু হয় ১৮৫৬ সাল থেকে। কিছু নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাবারে কৃত্রিম রং ব্যবহারের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশি। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। আল্ট্রা প্রসেসড খাবার যেমন—কোমল পানীয়, মিষ্টান্ন, স্ন্যাক্সে এর উপস্থিতি বেশি।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশের খাবারে যেসব কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়, তার প্রায় কোনোটাই ফুড কালার বা খাবারে ব্যবহারের কৃত্রিম রং নয়। এগুলো খাবারের স্বাদ বাড়ায় না। পুষ্টিগত দিক থেকে চিন্তা করলেও খাবারে কৃত্রিম রং ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই।

খাবারে এটি ব্যবহারের ফলে গলব্লাডারে পাথর, অতিরিক্ত এসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য, আইবিএসের মতো সমস্যা হতে পারে। শিশুদের ক্ষুধামন্দা, খাবারে অরুচির ক্ষেত্রেও এই ধরনের কৃত্রিম রং দায়ী।

যেহেতু এ ধরনের রং তাদের পেটে ঠিকমতো হজম হয় না, সেহেতু পরে তাদের দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক ডায়রিয়া, কলেরা হয়ে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয় ফুড গ্রেড মেনে। এফডিএ অনুমোদিত সেই ফুড গ্রেডের মধ্যে কিছু কালার আছে যেগুলো ব্যবহারোপযোগী। ফুড কালারগুলোও যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করতে হবে।

কেনা খাবারে কোন রং ব্যবহৃত হচ্ছে তা যাচাইয়ের সুযোগ না থাকায় ক্রেতাকেই সচেতন হতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button