বাড়ি বিশ্ব সংবাদ ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করা জাহাঙ্গীর তারিনের পরিণতি

ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করা জাহাঙ্গীর তারিনের পরিণতি

0
ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করা জাহাঙ্গীর তারিনের পরিণতি

২০২২ সালের ১০ এপ্রিল পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নেন ইমরান খান। সেই সময় জাতীয় পরিষদের ৩৪২ জন সদস্যের মধ্যে ১৭৪ জন সদস্য তার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে ভোট দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে ইমরান খানই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যাকে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে।

পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ককে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনের নাটের গুরু ছিলেন ইমরান খানের এক সময়ের বিশ্বস্ত সঙ্গী জাহাঙ্গীর খান তারিন। ১৯৫৩ সালে আজকের বাংলাদেশের কুমিল্লায় জন্ম নেওয়া তারিনকে পিটিআইয়ের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলা হতো। দল ক্ষমতায় আসার পর দুই নেতার মধ্যে বনিবনা কমতে থাকে। এক সময় দলের ভেতরেই নিজ অনুসারীদের নিয়ে আলাদা একটি গোষ্ঠী গঠন করে তাদের মাধ্যমেই ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করেন কয়েক শ মিলিয়ন ডলারের মালিক জাহাঙ্গীর তারিন।

পাকিস্তানের চলতি নির্বাচনে ইস্তেহকাম পাকিস্তান পার্টির (পিপিপি) হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ধনী এই রাজনীতিবিদ। হেভিওয়েট প্রার্থী হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তার দিকে দৃষ্টি ছিল সবার। নির্বাচনে তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে মাঠে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মালিক মোহাম্মদ আমির দুগার। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত ইমরানের দলীয় লোক হিসেবে আমির দুগারের পরিচিতি রয়েছে।

শুক্রবার পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, এনএ-১৪৯ আসনে আমির দুগারের কাছে পরাজিত হয়েছেন হেভিওয়েট জাহাঙ্গীর খান তারিন। ভোট গণনায় আমির দুগার পেয়েছেন এক লাখ ৪৩ হাজার ৬১৩ ভোট। অপরদিকে, জাহাঙ্গীর খান তারিন পেয়েছেন মাত্র ৫০ হাজার ১৬৬টি ভোট, যা আমির দুগারের প্রাপ্ত ভোটের অর্ধেকেরও কম। এই ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন পিটিআইয়ের সমর্থকরা।

এদিকে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ২৬৫ আসনের মধ্যে ১০০টির বেশি আসনের ফলাফলে এগিয়ে আছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বলেছে, এ পর্যন্ত ১০৬টি আসনের মধ্যে ৪৭টিতে জয়লাভ করেছে পিটিআই।

এর আগে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানজুড়ে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ বন্ধ হওয়ার ১৮ ঘণ্টা পর শুরু হয় ফলাফল ঘোষণা। পাকিস্তানের যেকোনো নির্বাচনের জন্য এই বিলম্বের পরিমাণ অনেকটাই অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা।