বাড়ি বাংলাদেশ জাতীয় জিএম কাদের বিরোধী দলের নেতা হতে পারছেন না?

জিএম কাদের বিরোধী দলের নেতা হতে পারছেন না?

0
জিএম কাদের বিরোধী দলের নেতা হতে পারছেন না

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশন শুরু হতে মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও সংসদের বিরোধী দল কে হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। অবশ্য জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হতে ইতিমধ্যে স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীকে চিঠি দিয়েছেন। তবে স্পীকার এখনও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মাদ (জিএম) কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা হওয়ার আহ্বান জানাননি। এরই মধ্যে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে বসছেন। ধারণা করা হচ্ছে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের দিয়েই বিরোধী দল গঠন করা হতে পারে।

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হবে। তবে বিরোধী দল কারা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দলের কালো পতাকা মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বলেন, ‘বিরোধী দল কে হবেন তা ঠিক হবে সংসদে। ঠিক করবেন স্পিকার। সেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কি করে বলেন বিরোধী দল হবে জাতীয় পার্টি।’

গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা বলেন, ‘কার বিরুদ্ধে কোন মামলা হবে, কার কি রায় হবে তা আইন-শৃক্সখলা বাহিনী এবং আদালতের বিষয় হলেও আওয়ামী লীগের নেতারা আগ বাড়িয়ে বলে দেন। তারা যদি এভাবে আগেভাগেই বলে দেন তাহলে আইন-শৃক্সখলা বাহিনী কিংবা আদালতের কি দরকার। এখন সংসদে বিরোধী দল কে হবে তা নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন ওবায়দুল কাদের।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির মধ্যে বর্তমানে দ্বন্ধ চলছে জিএমদ কাদের ও বেগম রওশন এরশাদের মধ্যে। রওশন এরশাদের সমর্থকরা একে একে পদত্যাগ করছেন। তাছাড়া জিএম কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন নন। সেক্ষেত্রে কপাল পুড়তে পারে জিএম কাদেরের।’

এদিকে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ আগামীকাল রোববার দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন। রাজধানীর গুলশানে রওশন এরশাদের বাসায় এ সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে জাপার শীর্ষ নেতাদেরও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় পার্টিতে রওশনপন্থী হিসেবে পরিচিতি নেতাদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য নেতৃত্ব ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণে অভিভাবকহীন হয়ে পড়া জাপার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আহ্বানে রওশন এরশাদ সাড়া দিয়েছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করা দলের প্রার্থী ও তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে তিনি সভা করবেন।

সংসদের প্রথম অধিবেশনের আগে বিরোধী দল কারা হবে তা অমীমাংসিত রয়েছে। সংসদের বিরোধীদল কারা হবে সেটি নিয়ে নানা আলোচনা আছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আদৌ কোনো জোট করবে কিনা, সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের ভাগ-বাটোয়ারাই বা কীভাবে হবে তা নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন। অবশ্য আওয়ামী লীগের বাইরে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই বলছেন, সংসদে বিরোধীদল নয়, বরং আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে অংশ নিতে চান তারা। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বৈঠকের পর বিরোধী দল কারা হবেন সেটি চূড়ান্ত হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আগামী ৩০শে জানুয়ারি বিকেলে নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন বসার কথা রয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এই অধিবেশন আহ্বান করেছেন।