বাড়ি বাংলাদেশ অগ্নিকান্ড ট্রেনে আগুন দেয়া হলো যেভাবে

ট্রেনে আগুন দেয়া হলো যেভাবে

0
ট্রেনে আগুন দেয়া হলো যেভাবে

‘১৭ মিনিটের ভার্চুয়াল মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত, রাতেই ট্রেনে আগুন’

‘শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ভার্চুয়ালি মিটিংয়ে ট্রেনে আগুন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনামের সভাপতিত্বে ১৭ মিনিটের এই মিটিংয়ে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ট্রেনে আগুন দেওয়ার জন্য। এর পরে শুক্রবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়।’

রাজধানী গোপীবাগে ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন যুবদল নেতা কাজী মনসুর। তার দেওয়া এক ভিডিও স্বীকারোক্তিতে এসব তথ্য জানান।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ছয় জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় বিএনপি অঙ্গসংগঠনের নেতা ও কর্মীরা ভিডিও কনফারেন্স করে, যা তারা একটি উদ্ধারকৃত ফোনের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। ওই ভিডিও কনফারেন্সে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন ও বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করে। ট্রেনে আগুন দেওয়ার জন্য অন্যরা রাজি না হলেও তাদের মধ্যে একজন রাজি হয়।

তিনি বলেন, আমরা অনেকের নাম পেয়েছি। তদন্ত চলছে। শিগগির তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।

জিজ্ঞাসাবাদে কাজী মনসুর ডিবিকে জানায়, তারা গতকাল একটি ভার্চুয়াল মিটিং করেন। মিটিং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নসহ আরো অনেকে ছিলেন। প্রায় ১৭ মিনিট ধরে মিটিংটি চলে। ভার্চুয়ালি এই মিটিং এ দুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথম সিদ্ধান্ত ভোট কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ করার জন্য, যাতে করে ভোটাররা ভয়ে সেখানে না আসে। আর দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হয় ট্রেনে আগুন দেওয়ার। এ সময় মিটিংয়ে যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন জিজ্ঞাসা করেন ট্রেনে আগুন দিতে পারবে কে। তখন মিটিংয়ে উপস্থিত একজন রাজি হয় ট্রেনে আগুন দেওয়ার বিষয়ে।

গতকাল শুক্রবার রাতে গোপীবাগে ট্রেনে আগুনের দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মরচুয়ারীতে রয়েছে।

পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিহতদের পরিচয় এখনও সনাক্ত করেনি। তবে নিখোঁজ চারজনের পরিবার হাসপাতালে আসলেও তারাও লাশ সনাক্ত করতে পারেনি এখনও।

এ ছাড়া ওই ট্রেনে দগ্ধ হয়ে ৮ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি রয়েছেন।