বাড়ি বাংলাদেশ নির্বাচন সংসদে বিরোধী দল নির্ণয়ে সংবিধানে নির্দেশনা নেই

সংসদে বিরোধী দল নির্ণয়ে সংবিধানে নির্দেশনা নেই

0
সংসদে বিরোধী দল নির্ণয়ে সংবিধানে নির্দেশনা নেই

বিএনপিসহ বেশ কিছু দল অংশগ্রহণ না করায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সামগ্রিক ফলে তেমন কোনো অনিশ্চয়তা নেই। সর্বোচ্চ আসনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে—বর্তমান পরিস্থিতি তা-ই বলে দিচ্ছে এমন প্রেক্ষাপটে। দুটি বিষয়ে কৌতূহলী হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ—আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত কত আসনে জয়ী হবে এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়ে কারা হতে যাচ্ছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। পাশাপাশি বর্তমান সংসদ সদস্যদের অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ায় ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ তৈরি হয়েছে বলে অনেক বিশ্লেষকের অভিমত।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সংগঠন ও জনসমর্থনের দিক থেকে দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি। সতেরো বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নানা কারণে দুর্বল হলেও তারা ছাড়া দেশে এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো আর কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই। এ কারণেই নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৭টি অংশ নেওয়ার পরও বিএনপি বাইরে থাকায় এবারের নির্বাচনে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, মনোনয়নপত্র জমার নির্ধারিত দিন শেষেই দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের আরেক মেয়াদ ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত হয়ে গেছে। দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দল কারা হবে—এ নিয়েই এখন আগ্রহ সবার। বিদেশিদের মধ্যেও এ নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা আগামী সংসদে বিরোধী দল কারা হচ্ছে—তা জানতে চান।

সংবিধান অনুযায়ী সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল সরকার গঠন করবে। জাতীয় নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে প্রতীয়মান হবে, রাষ্ট্রপতি সেই দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন এবং সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন।

তবে সংবিধানে বিরোধী দল সম্পর্কিত কোনো নির্দেশনা নেই। জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ২(১)(ট) ধারা অনুযায়ী, ‘বিরোধী দলের নেতা অর্থ স্পিকারের বিবেচনা মতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চসংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমত দল বা অধিসংঘের নেতা।’

কার্যপ্রণালি বিধিতে বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে হলে এককভাবে কয়টি আসন পেতে হবে, তা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি। বিরোধী দলের স্বীকৃতির বিষয়টি স্পিকারের একক এখতিয়ারের বিষয়। তবে প্রথা বা রেওয়াজ অনুযায়ী, সরকারি দলের পর যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেই দলই প্রধান বিরোধী দল এবং সেই দলের নেতা বিরোধী দলীয় নেতার মর্যাদা লাভ করেন। সে ক্ষেত্রে তাদের কতটি আসন থাকতে হবে—সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো বিধান নেই। যদিও প্রতিবেশী দেশ ভারতের লোকসভার বিধান এবং প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী বিরোধী দলের স্বীকৃতির জন্য ন্যূনতম ১০ শতাংশ আসন পেতে হয়।

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশের বিগত ১১টি সংসদের মধ্যে প্রথম ও ষষ্ঠ সংসদে কোনো বিরোধী দল ছিল না। দেশের প্রথম সংসদে সরকারের বিরোধিতাকারী পাঁচ থেকে সাত সংসদ সদস্য মিলে একটি গ্রুপ গঠন করেন। তারা আতাউর রহমান খানকে নেতা নির্বাচিত করেন। তাকে বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সংসদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এ নিয়ে ১৯৭৩ সালের ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আতাউর রহমান খান বলেন, ‘সংসদে সরকারের বিরোধিতাকারী দল বা গ্রুপের সর্বোচ্চসংখ্যক নিয়ে গঠিত দল বা গ্রুপের নেতাকে সংসদের স্পিকার বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারেন।’

ওই বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে তৎকালীন সংসদ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আতাউর রহমান খান একা এক দলের একজন, আরেক দলের একজন এবং আরও কয়েকজন নির্দলীয় সদস্য মোট পাঁচ থেকে সাতজন একটি কক্ষে বসতে চেয়েছেন এবং তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। সংসদীয় কনভেনশন অনুযায়ী পাঁচ-সাতজন সদস্য নিয়ে গঠিত কোনো গ্রুপের নেতাকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যায় না।’

২৫ জনের কম সদস্য নিয়ে গঠিত কোনো দলকে বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যায় না বলেও বঙ্গবন্ধু উল্লেখ করেন। আতাউর রহমান খানও ওই বক্তব্যের বিরোধিতা করেননি। শেষ পর্যন্ত কয়েক জন সংসদ সদস্যকে ‘বিরোধী গ্রুপ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও প্রথম সংসদে ‘বিরোধী দল’ বা ‘বিরোধী দলীয় নেতা’র স্বীকৃতি মেলেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সংসদের বিরোধী দল ও বিরোধীদলীয় নেতার বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণই একমাত্র নির্দেশনা। এখন পর্যন্ত সেই ধারাই অনুসরণ করা হচ্ছে। তবে ১৯৮৮ সালে বিশেষ বিবেচনায় কয়েকটি দলের সদস্যদের নিয়ে গঠিত সম্মিলিত বিরোধী দলকে (কপ) ‘বিরোধী দল’ এবং তাদের নেতা আ স ম আবদুর রবকে ‘বিরোধী দলীয় নেতা’র স্বীকৃতি দেওয়া হয়। মাত্র ১২ দিন স্থায়ী ষষ্ঠ সংসদ চলেছে বিরোধী দল ছাড়াই।

২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে ২৯টি আসন পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। সেবার মন্ত্রিসভায় যোগ দিলেও সংসদে প্রধান বিরোধী দলের স্বীকৃতি পেয়েছিল দলটি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ২২ আসন পেলেও বর্তমান সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। রাজনৈতিক সামর্থ্য ও জনসমর্থন বিবেচনায় এবারের নির্বাচনেও তাদেরই দ্বিতীয় অবস্থানে থাকার কথা। তার ওপর ২৬টি আসনে তাদের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। এগুলোসহ মোট ২৬৫ আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে জাতীয় পার্টি।

এতকিছুর পরও জাতীয় পার্টি গতবারের সমান আসন ধরে রাখতে পারবে কি না—তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ নৌকা না থাকলেও বেশ কয়েকটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী দৌড়ে আছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। নিজেদের ভোটব্যাংক শক্তিশালী না হওয়ায় এসব আসনে জাপার প্রার্থীদের জিতে আসা কঠিন। এর বাইরে নৌকার বিপক্ষে ২৩৯টি আসনে নির্বাচন করলেও হাতেগোনা কয়েকটিতে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু কালবেলাকে বলেন, ‘নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমরা সর্বোচ্চসংখ্যক আসনে বিজয়ী হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। আগামী সংসদে আমাদের অবস্থান কী হবে—নির্বাচনের ফলাফলই বলে দেবে।’

পর্যবেক্ষকদের মতে, সার্বিক বিবেচনায় এবারের নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসনে জয়ী হতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সে ক্ষেত্রে তারা কোনো দলের নেতাকে সমর্থন দিয়ে কিংবা নিজেদের মধ্যে নেতা নির্বাচিত করে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা। সে ক্ষেত্রে তারা ক্ষমতাসীন দলের পদ ছেড়ে বিরোধী দলে যোগ দিতে আগ্রহী হবেন না বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

এ বিষয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর যদি কোনো দলে যোগদান করে তাতে ৭০ অনুচ্ছেদ কোনো বাধা হবে না। তারা যে কোনো দলেই যোগদান করতে পারে। তারা সবাই মিলে চাইলে বিরোধী দলও হতে পারে। কিন্তু এবার যেসব স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা আছে, তাদের সবাই ক্ষমতাসীন দলের নেতা। নির্বাচনে জিততে পারলে তাদের সরকারি দলে যোগদানের সম্ভাবনাই বেশি। নিজ দল ক্ষমতায় থাকতে তারা বিরোধী দলে যোগ দিতে যাবেন কেন?’

অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণা ও গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে প্রধান বিরোধী দল হওয়ার জোর আশাবাদ জানাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনে নতুন নিবন্ধন পাওয়া দুই দল তৃণমূল বিএনপি এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) নেতারা।

এর মধ্যে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা ১৩৩টি আসনে ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী সিলেট-১/৪ এবং মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মূল লড়াইয়ে আছেন। দলটির নেতাদের দাবি, অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হলে তৃণমূল বিএনপির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী বিজয়ী হবেন।

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, জাতীয় পার্টি তো এখন বলতে পারবে না যে, ‘‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রায় সবাই সরকারি দলে গেছেন। আমরা জাতীয় পার্টি কিংবা ১৪ দলের মতো সরকারের সাথে আঁতাত-সমঝোতা করিনি। আমরা নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছি। আমরা আগেই বলেছি, তৃণমূল বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল হতে চায়। জনগণ যদি মনে করে, গণতন্ত্রকে রক্ষা ও শক্তিশালী করার জন্য জাতির স্বার্থে শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন, জনগণ আমাদের ভোট দেবে। সে ক্ষেত্রে আমরা ‘প্রধান বিরোধী দল’ হব।’’

অন্যদিকে বিএনএমের দলীয় প্রতীক ‘নোঙ্গর’ নিয়ে নির্বাচন করছেন ৫৪ প্রার্থী। এ দলের নেতাদের দাবি এর বাইরেও কয়েক স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে তাদের সমঝোতা রয়েছে। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তারা বিএনএমে যোগ দেবেন। দলীয় এবং ‘অঘোষিত’ প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই বিজয়ী হবেন এবং সব মিলিয়ে তারাই সংসদে প্রধান বিরোধী দল হবেন বলে আশা বিএনএম নেতাদের।

দলটির মহাসচিব ড. মো. শাহজাহান  বলেছেন, ‘‘নতুন দল হিসেবে বিএনএমে যত নেতা এসেছেন, অন্য কোনো দলে এত নেতা যোগদান করেননি। সাত সাবেক এমপি বিএনএমের নোঙ্গর প্রতীকে ভোট করছেন। এর মধ্যে পাঁচজন বিএনপির, একজন জাতীয় পার্টির এবং একজন স্বতন্ত্র এমপি ছিলেন। এ ছাড়া বিএনএমের ২০ ‘হিডেন’ প্রার্থী রয়েছেন, যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই সাবেক এমপি। লিখিত অঙ্গীকার অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে বিজয়ী হলে তারা বিএনএমে যোগ দেবেন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে সব মিলিয়ে আমাদের ৬০ থেকে ৭০ প্রার্থীর নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোয়ালিশন করে আমরা সরকার গঠন করতে পারি। অন্যথায় আমাদের প্রত্যাশা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে আমরা ‘প্রধান বিরোধী দল’ হব।’’

এদিকে দলীয়ভাবে খুব বেশি আসনে নির্বাচন না করলেও বেশ কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতা এবারের নির্বাচনে লাভ করতে পারেন। কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে দলীয় হাতঘড়ি প্রতীকে নির্বাচন করছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম। এই আসনে নৌকার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে বেকায়দায় আছেন। সব মিলিয়ে সৈয়দ ইবরাহিমের জয়লাভের সম্ভাবনা প্রবল।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে ‘একতারা’ প্রতীকে নির্বাচন করছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভান্ডারী। নৌকার প্রার্থী থাকলেও এই আসনে আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ তার পক্ষে কাজ করছেন। শেষ সময়ে এসে সৈয়দ সাইফুদ্দিনের জয়ের পাল্লা ভারী হচ্ছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল-৮ আসনে দলীয় ‘গামছা’ প্রতীকে নির্বাচন করছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

নির্বাচনে জিতে আসতে পারলে জাতীয়ভাবে আলোচিত এই নেতাদের কারো নেতৃত্বে কোয়ালিশন গঠন করে প্রধান বিরোধী দল হতে পারে বলেও ধারণা করছেন অনেকে।