জাতীয়বাংলাদেশ

ইনুর পরাজয়ের শঙ্কা খোদ শেখ হাসিনার

ইনুর পরাজয়ের শঙ্কা খোদ শেখ হাসিনাররাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ছয় জেলার জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোণা, বরগুনা ও রাঙ্গামাটি জেলার জনসভায় বক্তব্য দেন তিনি। এসময় উপস্থিত কুষ্টিয়ার নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ইনু ভাইও নৌকায় চড়েছেন। নৌকা যেনো দোল খেয়ে পড়ে না যায়, সেদিকে একটু খেয়াল রাখবেন।

জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, সন্ত্রাসী দল। জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। এদের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত রাখতে হবে। তাহলে দেশের উন্নয়ন হবে। দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেবো না।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর নামে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে নেমেছে বিএনপি। অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে তারা। রেলে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। মনুষ্যত্ব থাকলে এই ঘটনা ঘটাতে পারে না। বিএনপির নেতা কে? দুজনই সাজাপ্রাপ্ত। খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তারপরও তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে এবং তার বোন-ভাই রিকুয়েস্ট করার পর সাজা স্থগিত করে বাড়িতে থাকতে দিয়েছি। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া গ্রেনেড হামলা, কোটালিপাড়ায় বোমা পুঁতে রাখা, গুলি করে আমাকে মারতে চেয়েছিলো। তারপরও তার জন্য এটুকু মানবিকতা দেখিয়েছি।

নির্বাচনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কারণ আমি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে চাই। সব প্রার্থী জনগণের কাছে যাবে, ভোট চাইবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে। আমি চাই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হোক, জনগণের ভোটের অধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারুক। গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে চাই। গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা ও পরিবেশ থাকলে যে উন্নয়ন হয় সেটি আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে একবারই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা বদল হয়েছে। যেটা ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ করেছে। কারণ গণতন্ত্র থাকলেই উন্নয়ন হয়।

খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরা জেলা, বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলা, ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙামাটি জেলায় নির্বাচনী জনসভা করেছে আওয়ামী লীগ। এতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতারা, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা, থানা, পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকার নৌকা মার্কার প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও দেখুন

একটি মন্তব্য

  1. ইনুর পরাজয়টা জরুরি দরকার , কারন উনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ অনেক কর্মিকে অনেক নাজেহাল করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Bangladeshi mountaineer Babar Ali climbs Mount Everest সাঁতারের নিষিদ্ধ পোশাকে নারীদের ফ্যাশন শো সৌদিতে অভিনেতা জয় ও মিষ্টি জান্নাতের চুমুর দৃশ্য কোথায়?