বাড়ি বাংলাদেশ নির্বাচন দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর চ্যালেঞ্জে নৌকার ১৪৯ প্রার্থী

দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর চ্যালেঞ্জে নৌকার ১৪৯ প্রার্থী

0
দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর চ্যালেঞ্জে নৌকার ১৪৯ প্রার্থী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে অংশ নিচ্ছেন ২৬৬ প্রার্থী। তাদের মধ্যে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী নেতাদের অনেককেই দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে অগ্নিপরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে। এরই মধ্যে ১৪৯টি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছে।

৭ জানুয়ারির ভোটে শরিক ও মিত্রদের জন্য ৩২টি আসন ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। বাকি ২৬৮ আসনে দলটির প্রার্থী ছিল। এর মধ্যে কক্সবাজার-১ ও বরিশাল-৪ আসনে নৌকার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। বাকি ২৬৬টির মধ্যে ১৪৯টিতে নৌকার প্রার্থীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য, পদত্যাগী স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা। কয়েকটিতে জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএমের প্রার্থীর সঙ্গে ভোটযুদ্ধ হতে পারে। আর ১১৭ আসনে নৌকার প্রার্থী অনায়াসে জয়লাভ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা যায়, নির্বাচনী আমেজ, উৎসবমুখর পরিবেশ ও ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী-কৌশলে প্রতিটি আসনে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক কালবেলাকে বলেন, আওয়ামী লীগের মতো বড় দলে প্রতিযোগিতা থাকবে—এটাই স্বাভাবিক। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বতন্ত্র রাখায় প্রার্থী বেশি রয়েছে। সময় যত যাবে, ততই নৌকার পক্ষে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হবে।

বিশ্লেষণে জানা যায়, ঢাকা বিভাগে জাতীয় পার্টিকে তিনটি আসন ছেড়ে দেওয়ায় ৬৭টির মধ্যে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে ৩৬টিতে জমজমাট লড়াই হবে। কিশোরগঞ্জের ৬টি আসনের মধ্যে ৪টিতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পাশাপাশি কিছু আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যেতে পারেন নৌকার প্রার্থী। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ জাকিয়া নূর লিপির সঙ্গে তার ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের লড়াই হবে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ সাফায়েতুল ইসলামকে সমর্থন দিচ্ছেন।

কিশোরগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আবদুল কাহার আকন্দের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র পাকুন্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. সোহরাব উদ্দিন। নির্বাচনে তাদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী আফজালের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল।

মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মমতাজ বেগমের প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য প্রার্থী সাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ট্রাক প্রতীকের দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু এবং কেটলি প্রতীকের মুশফিকুর রহমান খান হান্নান।

মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমদের প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবীর। মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের সঙ্গে লড়াই হবে কাঁচি প্রতীকের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব। ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগের কোনো স্বতন্ত্র না থাকলেও নৌকার প্রার্থী সালমান এফ রহমানের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের লড়াই হবে। ঢাকা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী কামরুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান। ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নৌকার প্রার্থী সানজিদা খানমের সঙ্গে লড়াই হবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন এবং জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার।

ঢাকা-৫ আসনে নৌকা প্রতীকের হারুনুর রশিদ মুন্নার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মশিউর রহমান মোল্লা সজল ও ঈগল প্রতীকের কামরুল হাসান রিপন। ঢাকা-১৪ আসনে নৌকার প্রার্থী মো. মাইনুল হোসেন খানের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের সাবিনা আক্তার তুহিন। ঢাকা-১৯ আসনে নৌকার প্রার্থী এনামুর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ।

গাজীপুর জেলার ৫টি আসনের মধ্যে ৫টিতেই নৌকা এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। কয়েকটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে নৌকার প্রার্থীর কাছে হেরে যেতে পারেন।

গাজীপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আ ক ম মোজাম্মেল হকের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল। গাজীপুর-২ আসনে জাহিদ আহসান রাসেলের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন।

গাজীপুর-৩ নৌকার প্রার্থী রুমানা আলী এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন রিমি এবং তার ফুপাতো ভাই এবং কৃষক লীগের উপদেষ্টা ঈগল প্রতীকের আলম আহমেদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। গাজীপুর-৫ আসনে মেহের আফরোজ চুমকি সঙ্গে লড়াই হবে সাবেক সংসদ সদস্য আখতার উজ্জামানের।

নানাবিধ কারণে নিজ এলাকায় আলোচিত মাদারীপুর-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। এবার তার বিরুদ্ধে লড়ছেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম। এই আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে। তাদের মুখোমুখি লড়াই এরই মধ্যে নির্বাচনী এলাকায় উত্তাপও ছড়িয়েছে।

ফরিদপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমানকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে পারেন বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হওয়া আরিফুর রহমানও এখানে শক্ত প্রার্থী।

সারা বছর বাগযুদ্ধে সরব ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনে আবারও মুখোমুখি হয়েছেন এই দুজন। ফরিদপুর-৩ আসনে আদালতের রায়ে প্রার্থিতা ফেরত পাওয়া আওয়ামী লীগ শামীম হকের শক্ত প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. কে. আজাদ।

শরীয়তপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের প্রতিদ্বন্দ্বী দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর ছেলে খালেদ শওকত আলী।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য এবং নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলন খন্দকার ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান ভূঁইয়ার ত্রিমুখী লড়াই হবে।

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কায়সার হাসনানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকার।

রাজবাড়ী-১ আসনে নৌকার কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং সদর উপজেলা পরিষদের চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাসের লড়াই হবে। রাজবাড়ী-২ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. জিল্লুল হাকিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হকের লড়াই হবে।

নরসিংদী-১ আসনে গুরু-শিষ্যের মধ্যে লড়াই হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম হীরুর সঙ্গে লড়াই হবে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামান কামরুলের। নরসিংদী-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী ফজলে রাব্বি খানের সঙ্গে এই আসনের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

নরসিংদী-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে পাঁচবারের উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম খান বীরুর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নরসিংদী-৫ আসনে ৬ বারের টানা এমপি সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরীর তুমুল লড়াই হবে।

টাঙ্গাইল-২ আসনে নৌকা প্রতীকের বর্তমান সংসদ সদস্য ছোট মনিরের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মো. ইউনুছ ইসলাম তালুকদারের লড়াই হবে। টাঙ্গাইল-৩ আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকার প্রার্থী মো. কামরুল হাসান খানের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র এবং সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার।

টাঙ্গাইল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. মোজাহারুল ইসলাম তালুকদারের সঙ্গে লড়াই হবে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর।

টাঙ্গাইল-৭ আসনে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভকে নির্বাচনে জিততে হলে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং সাবেক মির্জাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর সঙ্গে। টাঙ্গাইল-৮ আসনে নৌকার প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের সঙ্গে লড়াই হবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের ৫৮ আসনের মধ্য ৪টি আসনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হওয়ায় বাকিগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই করে জিততে হবে। এই বিভাগে ২৪টি আসনে নৌকার প্রার্থীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর জয়ের পথে খানিকটা কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী পদত্যাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে ঢাকার মতিঝিল-আরামবাগের সাবেক আলোচিত কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদের।

কুমিল্লা-২ আসনের বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিমা আহমাদ মেরীর সঙ্গে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই হেভিওয়েট নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মজিদ ও শফিকুল ইসলামের। কুমিল্লা-৪ আসনে বর্তমান এমপি ও নৌকার প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ঈগলের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। কুমিল্লা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের আবুল হাসেম খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শওকত মাহমুদের মধ্যে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। কুমিল্লা-৬ আসনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার ও আফজল খান পরিবার। এ আসনে বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার ও আফজল খানের মেয়ে সংরক্ষিত মহিলা এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আন্জুম সুলতানা সীমার মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

চাঁদপুর-২ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তার সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য এম ইসফাক আহসানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। চাঁদপুর-৩ আসনে শিক্ষামন্ত্রী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও সাবেক এমপি ড. সামসুল হক ভূঁইয়ার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা শোনা যাচ্ছে। আর চাঁদপুর-৪ আসনে বর্তমান এমপি ও নৌকার প্রার্থী শফিকুর রহমানের সঙ্গেও আলোচনায় রয়েছেন সামসুল হক ভূঁইয়া। এ আসনে আরও আলোচনায় রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মোহাম্মদ শাহজাহান।

নোয়াখালী-১ আসনে বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহিমের সঙ্গে সদ্য পদত্যাগকারী সোনাইমুড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আল আমিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে। নোয়াখালী-২ আসনে বর্তমান এমপি ও নৌকার প্রার্থী বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আরেক ব্যবসায়ী ও তমা কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের। নোয়াখালী-৩ আসনের বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরনকে চ্যালেঞ্জে ফেলেছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ।

লক্ষ্মীপুর-১ আসনের বর্তমান এমপি ও নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে ‘ঈগল’ প্রতীকে লড়ছেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন। এমপি বিরোধী নেতা নেতাকর্মীরা ঈগলের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমতে পারে। লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু নৌকা প্রতীকে লড়ছেন। তাকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছেন ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ সাত্তার। আর লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে জাসদের মোশাররফ হোসেনকে জোটের প্রার্থী হিসেবে ‘নৌকা’ প্রতীক দেওয়া হলেও তাকে চ্যালেঞ্জে ফেলেছেন সাবেক এমপি ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ।

চট্টগ্রাম-১ আসনে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে ও নৌকার প্রার্থী মাহাবুব উর রহমানের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে মিরসরাইয়ের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের। চট্টগ্রাম-২ আসনে চতুর্মুখী লড়াই হবে আওয়ামী লীগের খাদিজাতুল আনোয়ার, তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশির মাইজভান্ডারী, সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়বের (তরমুজ) মধ্যে। চট্টগ্রাম-৩ আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহফুজার রহমান মিতার সঙ্গে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও স্বাচিপের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরীর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। চট্টগ্রাম-১০ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনজুর আলম ও যুবলীগ নেতা ফরিদ মাহমুদের সঙ্গে। চট্টগ্রাম-১১ আসনে বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ লতিফের সঙ্গে লড়াই হতে পারে জিয়াউল হক সুমনের। চট্টগ্রাম-১২ আসনে আওয়ামী লীগের মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ট্রাক প্রতীকের আব্দুল জব্বার চৌধুরীর সঙ্গে। চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বর্তমান এমপি আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীর সঙ্গে লড়াই হবে বিশিষ্ট শিল্পপতি ঈগল প্রতীকের আব্দুল মোতালেবের এবং চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ঈগলের মুজিবুর রহমানের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা রয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ বিভাগের ২৪টি আসনের মধ্য দুটি আসনে ক্ষমতাসীনদের মিত্র জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় এখানেও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে নৌকার প্রার্থীদের ভোটযুদ্ধের আভাস পাওয়া গেছে। ১৩টি আসনে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী।

শেরপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক মার্কায় নির্বাচন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন ছানু। আসনটিতে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শেরপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী সদ্য সাবেক শ্রীবর্দী উপজেলা চেয়ারম্যান এবি এম শহিদুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্য সাবেক ঝিনাইগাতি উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইমের ভোটযুদ্ধ জমে উঠতে পারে।

নেত্রকোনা-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রুহীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি জালাল তালুকদারের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমা তালুকদারের প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

নেত্রকোনা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর সঙ্গে ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ খান জয়ের ভোটযুদ্ধ জমে উঠতে পারে।

নেত্রকোনা-৩ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে। এই আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হলেন বর্তমান এমপি অসীম কুমার উকিল। এ ছাড়া এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন সাবেক এমপি মঞ্জুর কাদের কোরাইশী এবং সাবেক এমপি ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু। জামালপুরের ৫টি আসনের মধ্যে তিনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে। জামালপুর-২ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের নৌকা এবং স্বতন্ত্র জিয়াউল হকের ঈগলের মধ্যে।

জামালপুর-৪ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মুরাদের ঈগল, মাহবুবুর রহমানের নৌকা এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আ. রশিদের ট্রাকের মধ্যে।

জামালপুর-৫ আসনে আবুল কালাম আজাদের নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর ঈগলের মধ্যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

ময়মনসিংহ-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী জুয়েল আরেংয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া মাহমুদুল হক সায়েমের। ময়মনসিংহ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নিলুফার আনজুম পপির প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সোমনাথ সাহা। ময়মনসিংহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মোহিত উর রহমান শান্তর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীম। ময়মনসিংহ-৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুহুল আমীন মাদানীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন পৌর মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামান। ময়মনসিংহ-৯ আসনে হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া নৌকার মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালামের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিনের।

সূত্র আরও জানায়, রাজশাহী বিভাগের ৩৯টি আসনের মধ্যে দুটি আসন জাতীয় পার্টি ও দুটি আসনে ১৪ দলের শরিকদের জন্য ছেড়ে দেওয়ায় এখানে নৌকার সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। ২০টিতেই তীব্র লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে বগুড়া-১-এ স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবেন বর্তমান এমপি সাহাদারা মান্নানের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। বগুড়া-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুর কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান আকন্দ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শ্রমিক নেতা সৈয়দ কবির আহম্মেদ।

বগুড়া-৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তফা আলমের প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন বর্তমান এমপি রেজাউল করিম বাবলুর সঙ্গে।

তিনটি আসনের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে। আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও সাবেক এমপি গোলাম রব্বানীর ভোটযুদ্ধ জমে উঠবে।

নওগাঁ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের নিজাম উদ্দিন জলিল জনের সঙ্গে স্বতন্ত্র দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণের লড়াই নিয়ে এখনই শুরু হয়েছে আলোচনা। অন্যদিকে নওগাঁ-১ আসনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র মো. খালেকুজ্জামান তোতার। নওগাঁ-৪ আসনে নৌকার নাহিদ মোর্শেদের সঙ্গে স্বতন্ত্র এস এম বাহনী সুলতান মামুদ ও নওগাঁ-৬ আসনে আনোয়ার হোসেন হেলালের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ওমর ফারুকের লড়াই হবে।

রাজশাহীতে ছয়টি আসনের মধ্য রাজশাহী-১ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী নায়িকা শারমিন আক্তার নিপা ওরফে মাহিয়া মাহি ও সাবেক এমপি গোলাম রব্বানীর মধ্য।

রাজশাহী-৪ আসনে তীব্র লড়াইয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এখানে নৌকার আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ও রাজশাহী-৬ আসনে বর্তমান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক এমপি স্বতন্ত্র রাহেনুল হক।

নাটোর-১ বর্তমান এমপি শহিদুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আবুল কালাম, নাটোর-২ আসনে বর্তমান এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের সঙ্গে সাবেক মন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, নাটোর-৩ আসনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক এবং নাটোর-৪ আসনে বর্তমান এমপি সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর সঙ্গে তীব্র লড়াই হবে সাবেক এমপির ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন শোভনের।

সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আব্দুল মমিন মণ্ডলের নৌকার বিরুদ্ধে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ঈগল ও সিরাজগঞ্জ-৬ চয়ন ইসলামের সঙ্গে সাবেক পৌর মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী হালিমুল হক মীরুর লড়াই তীব্র হবে।

পাবনা-১ আসনে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইয়িদের তীব্র লড়াই হবে। পাবনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবিরের সঙ্গে বিএনএমের প্রার্থী সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনীর লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। পাবনা-৩ আসনে বর্তমান এমপি মকবুল হোসেনের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী চাটমোহর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

জানা গেছে, রংপুর বিভাগে ৩৩টি আসনে ৯টিতে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতায় দফারফা হওয়ায় এখানে ২৪টি আসনে নৌকার প্রার্থী রয়েছেন। অন্তত ১৫টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের। এর মধ্য পঞ্চগড়-১ আসনে নৌকার প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তার সঙ্গে জমজমাট নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে স্বতন্ত্র হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে দুই চাচাতো ভাইয়ের মধ্য লড়াই জমে উঠতে পারে। নৌকার প্রার্থীর সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের ছেলে মাজহারুল ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের পদত্যাগী চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল।

দিনাজপুর-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ কুমার ঘোষ কাঞ্চন ও দিনাজপুর-৬ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আজিজুল হক চৌধুরীর তীব্র লড়াই হতে পারে।

নীলফামারী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের। লালমনিরহাট-১-এ নৌকার মোতাহার হোসেনের সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমানের সঙ্গে জমজমাট নির্বাচনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। লালমনিরহাট-২-এ নুরুজ্জামান আহমেদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইর পরিচালক সিরাজুল হক ও লালমনিরহাট-৩ আসনে মতিয়ার রহমানের সঙ্গে জাবেদ হোসেন বকরের তীব্র লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

রংপুর-২ আসনে ক্ষমতাসীনদের বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কামাল মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু, রংপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের ছেলে নৌকার প্রার্থী রাশেক রহমানের সঙ্গে সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র জাকির হোসেন সরকারের ভোটের লড়াই জমে উঠবে।

কুড়িগ্রাম-৩-এ আওয়ামী লীগের সৌমেন্দ্র প্রসাদ পাণ্ডের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আব্দুস সোবহান ও স্বতন্ত্র ডা. মো আককাছ আলী সরকার এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনে নৌকার বিপ্লব হাসানের সঙ্গে স্বতন্ত্রের মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ও এ কে এম সাইফুর রহমানের ত্রিমুখী লড়াই হবে।

গাইবান্ধা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঙ্গে স্বতন্ত্র মফিজুল হক সরকার ও গাইবান্ধা-৪ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ নৌকার প্রার্থীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য মনোয়ার হোসেন চৌধুরী। গাইবান্ধা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপনের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলীর সঙ্গে তীব্র লড়াই হতে পারে।

নীলফামারী-১-এ আওয়ামী লীগ প্রার্থী আফতাব উদ্দিন সরকারের সঙ্গে বিএনএমের জাফর ইকবাল সিদ্দিকীর লড়াই হবে।

জানা গেছে, খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনে একটিতে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হওয়ায় ৩৫টি আসনে নৌকার প্রার্থীর রয়েছেন। এখানে ২১টিতে নৌকার সঙ্গে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর। এর মধ্য খুলনা জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে দুটিতে নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাডি লড়াই হবে। খুলনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম মুর্শেদীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি মোস্তফা রশীদী সুজার ভাই ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোর্তজা রশীদী দারার জমজমাট লড়াই হতে পারে। খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. রশিদুজ্জামানের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ জি এম মাহবুবুল আলমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাসের তীব্র লড়াই হবে। ঝিনাইদহ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল, ঝিনাইদহ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী সালাহ উদ্দিন মিয়াজীর সঙ্গে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ ও বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চলের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মেহেরপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নান ও জয়নাল আবেদীনের লড়াই হবে। মেহেরপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু সালেহ মো. নাজমুল হক সাগরের সঙ্গে দলের সাবেক এমপি মকবুল হোসেন ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি আবদুল গণির ভোটযুদ্ধ হবে।

কুষ্টিয়া-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আ ক ম সরওয়ার জাহানকে লড়াই করতে হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক এমপি দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল হক চৌধুরীর সঙ্গে। রেজাউল হক চৌধুরী ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। কুষ্টিয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফকে লড়তে হবে আরেক শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনুর বিরুদ্ধে। কুষ্টিয়া-৪ আসনের বর্তমান এমপি সেলিম আলতাফ জর্জের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আবদুর রউফের ভোটের লড়াই হবে।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়াল এবং মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ রাজ্জাক খানের। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি আলী আজগার টগরের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মির্জা শাহরিয়ার মাহমুদ লন্টু ও আবু হাশেম রেজার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

যশোর-১ আসনে সরকারি দলের তিনবারের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বেনাপোলের সাবেক পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। যশোর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিনের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম এবং চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান। যশোর-৩ আসনে কাজী নাবিল আহমেদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহিত কুমার নাথ। যশোর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী এনামুল হক বাবুলের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায়। যশোর-৫ আসনে নৌকার স্বপন ভট্টাচার্য্যের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী। যশোর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের শাহীন চাকলাদারের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আজিজুল হকের ত্রিমুখী লড়াই হবে।

বাগেরহাট-৩ আসনে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের স্ত্রী ও উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মোংলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলীর।

সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপনের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সৈয়দ দীদার বখত ও এস এম মুজিবুর রহমানের ত্রিমুখী লড়াই হবে। সাতক্ষীরা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এস এম আতাউল হকের সঙ্গে লড়াই হবে বিএনএমের প্রার্থী জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এইচ এম গোলাম রেজার।

জানা গেছে, সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের ১টিতে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হওয়ায় এখানে ১৮টি আসনে নৌকার প্রার্থীর রয়েছে। অন্তত ১০টি আসনে তীব্র ভোটযুদ্ধ হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর।

সিলেট-২ আসনে হবে ভোটের ত্রিমুখী লড়াই। এই আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী। এ ছাড়া গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে আছেন বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান ও জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এহিয়া চৌধুরী। ত্রিমুখী লড়াই হবে সিলেট-৩ আসনেও। এই আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন হাবিবুর রহমান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক। আর সিলেট-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিনের বিপরীতে ভোটে লড়ছেন ড. আহমদ আল কবির ও হুছামুদ্দীন চৌধুরী। ফুলতলী পীর সাহেবের ছেলে হিসেবে এই অঞ্চলে হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রভাব রয়েছে। সিলেট-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে আছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সারওয়ার হোসেন। এ ছাড়া তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ও সাবেক কূটনীতিক শমসের মবিন চৌধুরী।

সুনামগঞ্জ-১ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তিন প্রার্থীর। এই আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রণজিত সরকার। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমদ। সুনামগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে আছেন সাবেক এমপি জয়া সেনগুপ্ত। সুনামগঞ্জ-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিকের সঙ্গে লড়াই হবে জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহর। আর হবিগঞ্জ-১ আসনে মহাজোটের প্রার্থী এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু। তার বিপরীতে ভোটে লড়বেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। হবিগঞ্জ-২ আসনে বর্তমান এমপি আব্দুল মজিদ খানের বিরুদ্ধে লড়বেন নৌকার প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন রুয়েল। হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর সঙ্গে লড়বেন যুবলীগের সাবেক আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। মৌলভীবাজার-২ আসনে হবে ত্রিমুখী লড়াই। এই আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। আছেন কুলাউরা উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমান ও সাবেক এমপি এম এম শাহীন।

জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনের ৩টিতে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হওয়ায় এখানে ১৮টি আসনে নৌকার প্রার্থীর রয়েছে। এখানে অন্তত ১০টি আসনে তীব্র ভোটযুদ্ধ হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে।

বরিশাল-২ আসনে নৌকার প্রার্থী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম ও একে ফাইজুল হকের লড়াই হতে পারে। বরিশাল-৩ আসনে জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপুর সঙ্গে স্বতন্ত্র আতিকুর রহমানের ভোটযুদ্ধ জমতে পারে। বরিশাল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের জাহিদ ফারুক শামিমের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপনের লড়াই হতে পারে। বরিশাল-৬ আসনে নৌকার হাফিজ মল্লিকের সঙ্গে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান এমপি নাসরিন জাহান রত্না আমিন, উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামসুল আলম চুন্নুর লড়াই হতে পারে।

পিরোজপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিমের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন দুবারের সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল। পিরোজপুর-২ নৌকার প্রার্থী জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সঙ্গে সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজের ভোটযুদ্ধ হবে। পিরোজপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মাশরেকুল আজম রবির সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় পার্টির বর্তমান এমপি রুস্তম আলী ফরাজীর লড়াই হবে।

পটুয়াখালী-৩ আসনে নৌকার শাহজাদা সাজু এমপির বিরুদ্ধে বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক আবুল হোসেনের লড়াই হবে। পটুয়াখালী-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি মুহিব্বুর রহমান মুহিবের বিরুদ্ধে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদারের তীব্র লড়াই হবে।

বরগুনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী পাঁচবারের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সঙ্গে তীব্র লড়াই হবে আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর। জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, আমতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম সরোয়ার ফোরকানের সঙ্গে ভোটযুদ্ধ হবে নৌকার প্রার্থীর।