সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে দলের ব্যর্থতার কারণ খতিয়ে দেখবে তিন সদস্যের এই কমিটি।
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের চরম ব্যর্থতার কারণ খতিয়ে দেখতে অবশেষে আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নিল বিসিবি। দলের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পর বিশেষ একটি কমিটি গঠন করল বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থাটি।
তিন সদস্যের এই কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে বিসিবি পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজকে। আগেও নানা সময়ে এই ধরনের বিশেষ কমিটিগুলোয় কাজ করেছেন বর্ষীয়ান এই ক্রিকেট সংগঠক। এখন তিনি বিসিবির ওয়ার্কিং কমিটির চেয়ারম্যান।
কমিটির বাকি দুই সদস্য বিসিবি পরিচালক মাহবুব আনাম এবং আরেক বিসিবি পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান।
মাহবুব আনাম বিসিবি পরিচালক হিসেবে আছেন অনেক বছর ধরেই। বিসিবির সিনিয়র সহ-সভাপতিও ছিলেন তিনি। এখন তিনি গ্রাউন্ডস কমিটির প্রধান। আকরাম খান একসময় প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে বিসিবি পরিচালক হওয়ার পর ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান ছিলেন লম্বা সময়। এখন তিনি বিসিবির ফ্যাসিলিটিজ কমিটির চেয়ারম্যান।
বিশ্বকাপের পর টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ ও প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে এর মধ্যেই তাদের রিপোর্ট দিয়েছেন বিসিবিকে। তিন সদস্যের এই বিশেষ কমিটি সেই রিপোর্ট পর্যালোচনা করবে এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে দলের ব্যর্থতার কারণগুলি বের করে আনার চেষ্টা করবে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি জানালেন, সুনির্দিষ্ট কোনো সময় বেধে দেওয়া হয়নি এই কমিটিকে।
“আমাদের প্রাথমিক ভাবনা ছিল, বোর্ড সভায় এসব নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু পরে মনে হয়েছে, যতটা সম্ভব তথ্য জেনে নিয়ে তারপর বোর্ড সভায় আলোচনা করা ভালো। এজন্যই এই কমিটি করা হয়েছে। যাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন মনে করবে, কমিটি তাদের সবার সঙ্গেই কথা বলবে। সেখানে কোচ, অধিনায়ক তো বটেই, আরও যে কেউ এই তালিকায় থাকতে পারেন।”
“তবে বাংলাদেশে এখন একটি সিরিজ চলছে, এরপরই আরেকটি সফর আছে। দল সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে এই সময়টায় তারা কথা বলবেন না। আমরা চাই না কোনোভাবেই তাদের মনোযোগ মাঠের বাইরে থাকুক। এজন্যই কমিটিকে কোনা সময় বেধে দেওয়া হয়নি। এখন তারা দলের বাইরে যাদেরকে প্রয়োজন মনে করেন, তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। পরে খেলা শেষ হলে দল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।”
এবারের বিশ্বকাপে অনেক আশা নিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ দল। ৯ ম্যাচের মধ্যে জয় এসেছে কেবল ২টিতে। হেরে যাওয়া ম্যাচগুলিতে কোনো লড়াই জমাতেও পারেনি দল।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজ শেষেই নিউ জিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। সীমিত ওভারের সিরিজটি শেষ হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। এরপর জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ