বাড়ি Bangla News সিএনজি স্টেশন আরো দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখার উদ্যোগ

সিএনজি স্টেশন আরো দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখার উদ্যোগ

0
2022 10 13 202859

গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় সিএনজি স্টেশন আরও দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখতে চায় পেট্রোবাংলা। বর্তমানে সিএনজি স্টেশনগুলো সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। আরও দুই ঘণ্টা বাড়ানো হলে মোট সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকবে স্টেশনগুলো।

এ বিষয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার সিএনজি স্টেশন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে পেট্রোবাংলা। কিন্তু মালিকরা জানান, বিদ্যুতের কারণে ৫-৬ ঘণ্টা গ্যাস বিক্রি বন্ধ থাকে। রেশনিংয়ের আওতায় পাঁচ ঘণ্টা গ্যাস বিক্রি করা হয় না। পাশাপাশি স্বল্প চাপের কারণে গ্যাস নিতে সময় লাগে। এরমধ্যে রেশনিং আরও দুই ঘণ্টা বাড়ানো হলে ব্যবসা থাকবে না। এসব কথা জানিয়ে অসম্মতি জানিয়েছেন তারা।

সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান বলেন, ‘গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় পেট্রোবাংলা আরো দুই ঘণ্টা সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ রাখতে চায়। যদিও আমরা তাদের প্রস্তাবে সম্মতি দিইনি। কারণ বর্তমানে রেশনিংয়ের আওতায় দিনে পাঁচ ঘণ্টা স্টেশনগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ’

লোড শেডিংয়ের কারণে আরো ৩-৭ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকছে দেশের ৮০ শতাংশ সিএনজি স্টেশন। এই মুহূর্তে সিএনজি স্টেশনের বন্ধের সময়সীমা আরো দুই ঘণ্টা বাড়ানো হলে বেকায়দায় পড়ে যাবে স্টেশন মালিকরা।আরো ভোগান্তিতে পড়বেন সিএনজিচালিত গাড়ির চালকরা।
ফারহান নূর বলেন, ‘যেখানে গ্যাসের চাপ (প্রেসার) ১৫ পিএসআই থাকার কথা, সেখানে আমরা পাচ্ছি মাত্র ২-৪ পিএসআই গ্যাস।

গ্যাসের প্রেসার কম থাকার কারণে গাড়িতে গ্যাস নিতে সময় বেশি লাগছে। ফলে স্টেশনগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ লাইন হচ্ছে। ’তিনি বলেন, ‘মোট সরবরাহ গ্যাসের মাত্র ৩ শতাংশ সিএনজি স্টেশনগুলো ব্যবহার করে। যা সর্বোচ্চ দাম দেওয়া হয়। এই অল্প গ্যাসে রেশনিং বাড়িয়ে খুব বেশি লাভ হবে না। বরং ভোগান্তি বাড়বে গাড়িচালকদের এবং চাপ পড়বে জ্বালানি তেলের ওপর। ’

দেশে সিএনজি স্টেশনের সংখ্যা প্রায় ৫০০। প্রতি ইউনিট গ্যাস বিক্রি করা হয় ৪৩ টাকায়।এই বিষয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছি। এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে সংকট মোকাবিলায় সবাই এগিয়ে না এলে আমাদের একার পক্ষে এটা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।

দুই ঘণ্টা বিকালে না রাতে বাড়ানো হবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কোন সময় করলে বিদ্যুতে গ্যাসের সরবরাহ আর একটু বৃদ্ধি করা যাবে, সেটাই দেখা হবে।