বাড়ি অপরাধ ভূয়া ওয়ারেন্টে প্রবাসীর ১৩দিন কারাবাস।

ভূয়া ওয়ারেন্টে প্রবাসীর ১৩দিন কারাবাস।

0
ভূয়া ওয়ারেন্টে প্রবাসীর ১৩দিন কারাবাস।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের ইসলামনগর গ্রামের আপ্তাব মিয়ার ছেলে কাতার প্রবাসী সদ্য বিবাহিত শিপন মিয়ার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে।

মানব পাচার মামলায় ভুয়া ওয়ারেন্টে ১৩ দিন কারাবাস করে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মৌলভীবাজার আমলী আদালতের বিচারক তাকে জামিন মঞ্জুর করেন।আদালত সূত্রের বরাতে জানা যায়, যে ওয়ারেন্টে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই মামলাই ছিল ভুয়া। পুলিশের কোনো রকম যাচাই বাছাই ছাড়াই ভুয়া ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তারের ফলে তাকে কারাবাস করতে হয়েছে।কাতার ফেরত প্রবাসী মোঃ শিপন মিয়া বলেন, বিয়ের ১০দিন পর পুলিশ ভুয়া ওয়ারেন্ট নিয়ে আমাকে গ্রেপ্তার করে। কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে আমি অনেক অনুরোধ করেছি।

বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আমাকে গ্রেপ্তার করার জন্য।তিনি আরও বলেন, তিনি আমাকে সময় না দিয়ে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরণ করেন। এতে আমি সামাজিক, মানসিক ও আর্থিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ক্ষতিপূরণসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানাচ্ছি। একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রের কাছ থেকে ন্যায় বিচার পাবার অধিকার আমার আছে কি?আসামি পক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম সিরাজী জানান, সদ্য প্রবাস ফেরত দেশে আসা কাতার প্রবাসী মোঃ শিপন মিয়াকে কুলাউড়া থানার পুলিশ গত ২৬ আগস্ট গ্রেপ্তার করে। যে গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট মূলে তিনি ধৃত হয়েছেন সেই মামলার এজাহার, এফআইআর ও চার্জশীটে আসামীর নাম ও ঠিকানা নাই।

সংশ্লিস্ট মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল, সিলেট আদালতে খোঁজ নিয়ে এই ধরনের কোনও মামলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ভুয়া ২টি মামলা দেখানো হয়েছে। প্রত্যেকটা সার্চিং স্লিপ উত্তোলন করে এনেছি। যারা ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়ে ভুয়া ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।তিনি আরও বলেন, পুলিশ প্রশাসনের উচিত ছিলো ওয়ারেন্ট এর সত্যতা যাচাই করে আসামিকে গ্রেপ্তার করা। এখন পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। যাতে আর কোনও নিরপরাধী এভাবে ভুয়া ওয়ারেন্টে হেনস্থার স্বীকার হয়ে জেল না খাটতে হয়।

এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ( ওসি ) মোঃ আব্দুছ ছালেক জানান, বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে পুলিশ সুপার কার্যালয় ও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক এর মাধ্যমে ওয়ারেন্ট সংশ্লিষ্ট থানায় আসে। এখানে আমাদের যাচাই করার সুযোগ থাকেনা। বিষয়টি দুঃখজনক। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করা প্রয়োজন ও আইনের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করি।

বাংলা ম্যাগাজিন /এনএইচ