বাড়ি উন্নয়ন বহুপ্রতীক্ষিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।

বহুপ্রতীক্ষিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।

0
বহুপ্রতীক্ষিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।

আরো একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলো দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের। দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বহুল কাঙ্ক্ষিত পিরোজপুরে কচা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী বেকুটিয়া সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ ঘটিকায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন এই সেতুটি উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি, জাতীয় পার্টি জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল ও সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসুদ মাহমুদ সুমন, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাঈদুর রহমানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মী।

সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আজ সেতুর কুমিরমারা ও বেকুটিয়া দুই প্রান্তে ছিল অনুষ্ঠান। সেতু এলাকায় ছিল সাজ সাজ রব।পিরোজপুরের সেতুর কুমিরমারা প্রান্তে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান এবং কাউখালী বেকুটিয়া প্রান্তে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাউখালীর ইউএনও মোছা. খালেদা খাতুন রেখা।সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় বরিশাল, খুলনা, সর্ব বৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোল, পর্যটন নগরী কুয়াকাটা ও পায়রা বন্দর পর্যন্ত সড়কপথ ফেরিবিহীন হলো।মূল সেতুটির উভয় প্রান্তে ৪৯৫ মিটার ভায়াডাক্ট সহ সর্বমোট দৈর্ঘ্য প্রায় দেড় কিলোমিটার। ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের এই সেতুটিতে ১০টি পিলার, ৯টি স্প্যান ও ৮টি পিয়ার বিশিষ্ট এ সেতু।

চিনা প্রেসিডেন্ট-এর বাংলাদেশ সফরকালে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর ৮ম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু নির্মাণে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে এ সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।করোনা মহামারীর মধ্যেও ৩০ জুন এই সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করে চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ১৭তম ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানী লিমিটেড।সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি টাকা গ্র্যান্ড অনুদান দিয়েছে চীন সরকার।

বাকি ২৪৪ কোটি টাকার জোগান দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ফেরি পারাপারের দুর্ভোগ ঘুচিয়ে এই সেতু দক্ষিণ- দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় নবদিগন্তের সূচনা করল।

উদ্বোধনের পরপরই স্থানীয় হাজারো জনতার ঢল নামে সেতুতে। এ সময় বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাস প্রকাশ করেন তারা।

বাংলা ম্যাগাজিন /এনএইচ