বাড়ি প্রবাস ইউরোপ সিলেটে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাবা, ছেলে ও মেয়ে ‘অক্সিজেন-স্বল্পতায়’ মারা গেছে

সিলেটে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাবা, ছেলে ও মেয়ে ‘অক্সিজেন-স্বল্পতায়’ মারা গেছে

0
সিলেটে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাবা ছেলে ও মেয়ে ‘অক্সিজেন স্বল্পতায় মারা গেছে

সিলেটের ওসমানীনগরে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাবা, ছেলে ও মেয়ে ‘অক্সিজেন-স্বল্পতায়’ মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনা করে মৃত্যুর এ কারণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত ২৬ জুলাই বেলা ১১টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগরের তাজপুর এলাকার একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলার কক্ষের দরজা ভেঙে রফিকুল ইসলাম (৫০), তাঁর স্ত্রী হোসনারা বেগম (৪৫), ছেলে সাদিকুর রহমান (২৫), মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০) ও ছোট ছেলে মাইকুল ইসলামকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর রফিকুল ইসলাম ও মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এরপর ৫ আগস্ট রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সামিরা ইসলাম মারা যান।

রফিকুল ইসলাম ওসমানীনগর উপজেলার বড় দিরারাই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তবে তিনি বেশ আগেই যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব লাভ করেন। ১২ জুলাই রফিকুল স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে দেশে এসেছিলেন। পরে ১৮ জুলাই তিনি ওসমানীনগরে চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি বাসা ভাড়া নেন। ওই ঘটনার পর চিকিৎসা শেষে ৩ আগস্ট বাড়িতে ফিরেছেন রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হোসনারা বেগম ও ছেলে সাদিকুল ইসলাম।

২৩ আগস্টের ঘটনায় পুলিশ সুপার নিজ কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক তদন্তে একই পরিবারের তিন প্রবাসীর মৃত্যু এবং দুই সদস্য অসুস্থ হওয়ার ঘটনা জেনারেটরের ধোঁয়া থেকে হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সে সময় চিকিৎসকদের প্রতিবেদন না আসায় সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছিলেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, ভিসেরা প্রতিবেদন, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ২০টি আলামতের রাসায়নিক বিশ্লেষণ ও বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল পর্যালোচনা করেছেন। পরে তাঁরা একটি মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে প্রতিবেদন দিয়েছেন। সেটি বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, প্রথমত লোকজনের আশঙ্কা ছিল, এ ঘটনা বিষক্রিয়ায় হতে পারে। তবে প্রতিবেদনে বিষক্রিয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয়ত, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নিহত তিনজনের শরীরে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ