বাড়ি অপরাধ কেরানীগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ১১ কেজি স্বর্ণালংকার লুট

কেরানীগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ১১ কেজি স্বর্ণালংকার লুট

0
কেরানীগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ১১ কেজি স্বর্ণালংকার লুট

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় দিনদুপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে প্রায় ১১ কেজি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে দৃর্বৃত্তরা। বুধবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রসুলপুর বাজারের নাসিরুদ্দিন সুপারমার্কেটের নিউ আল-আমিন জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওই জুয়েলার্সের মালিক রামধন চন্দ্র মণ্ডল ওরফে স্বপন (৫০)।

তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ওই জুয়েলার্সের কর্মচারী দুর্জয় বলেন, মাত্র চার থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে পুরো ঘটনা ঘটে। দৃর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে পালানোর সময় আধা কেজির মতো স্বর্ণালংকার দোকানের সামনের সড়কে ফেলে যায়। সেগুলো পথচারীরা নিয়ে যায়।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজামান বলেন, কী পরিমাণ স্বর্ণালংকার লুট হয়েছে, সেটা তাঁরা নিশ্চিত হতে পারেননি। এ বিষয়ে তাঁরা তদন্ত করছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।জুয়েলারির দোকানে ডাকাতির খবর পেয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির, র‌্যাব, সিআইডি, গোয়েন্দা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বেলা পৌনে দুইটার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে হেলমেট পরা ছয় দুর্বৃত্ত প্রথমে নিউ আল–আমিন জুয়েলার্সের পাশে ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় ভীতি তৈরি করে। একপর্যায়ে ওই ছয়জনের মধ্যে চারজন দোকানে প্রবেশ করে। দোকানে ঢুকেই তারা জুয়েলার্সের মালিক স্বপন মন্ডলের ডান পায়ে দুটি গুলি করে।

এরপর দোকান থেকে প্রায় ১ কেজি ওজনের ৪টি সোনার বারসহ ১১ কেজি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। লুটপাট শেষে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ইকুরিয়ার দিকে পালিয়ে যায়।প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা আরও জানান, হাতবোমার বিস্ফোরণে ওই এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। সে কারণে কিছু দেখা যায়নি। অস্ত্রের ভয়ে দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করতেও কেউ সাহস পাননি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।