বাড়ি অপরাধ প্রদীপ গ্রেফতারের পর থেকেই চুমকির কোনো সন্ধান নেই

প্রদীপ গ্রেফতারের পর থেকেই চুমকির কোনো সন্ধান নেই

2
প্রদীপ গ্রেফতারের পর থেকেই চুমকির কোনো সন্ধান নেই

দেশের আলোচিত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। কিন্তু বিপদের এই দিনে পাশে নেই স্ত্রী চুমকি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় প্রদীপের স্ত্রী পলাতক রয়েছেন। মূলত প্রদীপ গ্রেফতারের পর থেকেই চুমকির কোনো সন্ধান মেলেনি। দীর্ঘ ১৯ মাসেও কারাগারে থাকা ওসি প্রদীপ তার স্ত্রী-সন্তানের দেখা পাননি। অপরদিকে প্রদীপ ও তার স্ত্রীর নামে থাকা চট্টগ্রামের বাড়িসহ সব সম্পত্তি আদালতের নির্দেশে ইতোমধ্যে ক্রোক করেছে প্রশাসন।

দুদক সূত্র জানায়, প্রায় চার কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে গত ২০২০ সালের ২৩ আগস্টে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, স্বামী ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরপূর্বক একে অপরের সহযোগিতায় ভোগদখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন চুমকি কারণ।

ওসি প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার বাদী দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি পলাতক রয়েছেন। চুমকি যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশকে দাফতরিক চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে এর আগেই সে দেশ ছেড়েছে কিনা এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই দুদকের কাছে।

মামলা হওয়ার পর থেকেই চুমকি কারণ লাপাত্তা। চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটাস্থ প্রদীপ দম্পতির ছয় তলা বাড়ি লক্ষ্মী কুঞ্জে সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। সেই বাড়িতে খোঁজ নিয়েও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মূলত প্রদীপ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই চুমকি আর বাড়িতে থাকছেন না। তিনি কোথায় থাকছেন এ ব্যাপারে কারো কাছে কোনো তথ্য নেই।

দুদকে দেখানো সম্পদ ছাড়াও প্রদীপ দাসের চট্টগ্রামের লালখানবাজারে একটি ফ্ল্যাট, কক্সবাজারে দুটি হোটেল, দেশের বিভিন্ন স্থানে জমি ও ভবন রয়েছে। ভারতের আগরতলা, বারাসত, কলকাতা, গুয়াহাটিতেও তার একটি বাড়ি রয়েছে। জানা গেছে, প্রদীপ তার অবৈধ আয় দিয়ে স্ত্রী চুমকির নামে আরও সম্পদ কিনেছেন।

বোয়ালখালীতেও স্ত্রীর নামে কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। সারোয়াতলী এলাকায় প্রদীপের স্ত্রীর নামে একটি মাছ প্রকল্পও রয়েছে। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক চুমকি ঘটনার পর থেকেই অনেকটা আবডালে চলে গিয়েছেন, কেউ বলছেন, দেশেই আছেন সেইফ হোমে আর কেউ বলছেন বর্ডার পার হয়ে পাড়ি জমিয়েছেন প্রতিবেশী দেশে ।