বাড়ি অপরাধ চিকিৎসার নামে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে কবিরাজের কারাদণ্ড

চিকিৎসার নামে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে কবিরাজের কারাদণ্ড

1
চিকিৎসার নামে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে কবিরাজের কারাদণ্ড

দুই কিশোরীকে কৌশলে ধর্ষণ করে তার ভিডিও ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইলে ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে এক বৃদ্ধকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আদাল তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের অদেশ দেন। আজ বুধবার দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত ব্যক্তির নাম আল-আমিন ওরফে আকিল। তিনি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৬ সালে যখন মামলাটি করা হয় তখন তার বয়স ছিল ৬০ বছর। বর্তমানে আল-আমিন পলাতক রয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতেই এই রায় ঘোষণা করা হলো।

রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা জানান, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ভুক্তভোগী এক কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় একটি মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে নাটোরের আদালতে বৃদ্ধ আল-আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর নাটোরের আদালত থেকে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ধারার অংশটির বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। পরে রাজশাহীতে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন হলে এটি এখানে আসে। সেখানে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করলেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর  প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগানোর কথা বলে এলাকার এক কিশোরীকে (১৪) কবিরাজি চিকিৎসা দেওয়ার নামে ঘরে ডেকে ধর্ষণ করেন আল-আমিন। এরপর থেকে ওই কিশোরীকে নিয়মিত ধর্ষণ করা হতো। একই বছরের ১৫ নভেম্বর ১৩ বছরের আরেক কিশোরীকে কৌশলে কবিরাজি চিকিৎসার নামে ধর্ষণ করেন তিনি। দুজনকে ধর্ষণেরই ভিডিও করে রাখেন ওই বৃদ্ধ।

ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে দুই কিশোরী মেরে ফেলার ভয় দেখানো হতো। ওই বৃদ্ধ দুই কিশোরীকে তার কাছে যাওয়ার জন্য চাপ দিতেন। পরে তারা আর না গেলে তাদের ধর্ষণের ভিডিও বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন তিনি।

রাজশাহীর আদালতে শুধু ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার বিচার হলো। ধর্ষণের জন্য মামলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারার অংশটির বিচার চলছে নাটোরের আদালতে। ওই অংশটুকুর রায় এখনো হয়নি। মামলা একটি হলেও ধারা আলাদা থাকার কারণে বিচার দুই আদালতে চলছে বলেও জানান আইনজীবী ইসমত আরা।