বাড়ি এক্সক্লুসিভ শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ঢাবিতে প্রতীকী অনশন

শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ঢাবিতে প্রতীকী অনশন

0
শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ঢাবিতে প্রতীকী অনশন

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে তারা এই প্রতীকী অনশন শুরু করেন। এই কর্মসূচি বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে।

এতে অংশ নিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন,  আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দীন খান, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড রুশাদ ফরিদী, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড মো. কামরুজ্জামান, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোসাহিদা সুলতানা রিতু, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজলি শেহরীন ইসলাম, ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব প্রমুখ।

এর আগে, শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা জানান, কয়েক দিন ধরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত হামলার প্রতিবাদ, শিক্ষার্থীদের প্রাণ রক্ষার দাবি ও তাদের ন্যায্য দাবিগুলোর সমর্থনে এই প্রতীকী অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যারা (উপাচার্য) সরকারের মনিবে পরিণত হতে পারে তারাই আজ ওই পদের জন্য যোগ্য হয়ে থাকে। উপাচার্য নিয়োগে কোনো মেধা বা যোগ্যতার যাচাই করা হয় না বরং কে সরকারকে ইপোর্ট দিতে যোগ্য তাকেই নিয়োগ দেয়া হয়। যার উদাহরণ আজকের শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটমান পরিস্থিতিতে তথাকথিত উপাচার্যের শিক্ষার্থীদের প্রতি আচরণের মাধ্যমে পরিলক্ষিত। 

ঢাবি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুশাদ ফরিদী বলেন, আমরা শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পূর্ণ একমত। কারণ একজন উপাচার্যের কাছে শিক্ষার্থীরা সন্তানের মতো। আমরা মনে করি শিক্ষার্থীদের দাবি অন্যায় নয়। তর্কের খাতিরে যদি বলাও হয় শিক্ষার্থীদের দাবি অন্যায় তাহলেও কোন পিতা পুলিশ ডেকে সন্তানদের পেটাতে পারে না। আর যে উপাচার্যের মনোভাব এরকম তিনি উপাচার্যের পদে থাকার সকল যোগ্যতা হারিয়েছেন।

এদিকে, সময় যত গড়াচ্ছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে জনসমর্থনও বাড়ছে। গতকাল সিলেটের ৩৫টি সংগঠন শিক্ষার্থীদের সমর্থনে বিবৃতি, দুটি সংগঠন একাত্মতা ঘোষণা করেছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ১০১ জন ছাত্রলীগ নেতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। আর এবার শিক্ষক নেটওয়ার্ক আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে প্রতীকী অনশন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।