বাড়ি বাংলাদেশ নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় চলাচলের রাস্তা বাঁশের বেড়া ও টিন দিয়ে বন্ধ

নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় চলাচলের রাস্তা বাঁশের বেড়া ও টিন দিয়ে বন্ধ

0
নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় চলাচলের রাস্তা বাঁশের বেড়া ও টিন দিয়ে বন্ধ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় আ. রহমান নামে এক ব্যক্তির চলাচলের রাস্তা বাঁশের বেড়া ও টিন দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার উপজেলার গোতামারী ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব আমঝোল এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গত ২৮ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী আ. রহমান বাদী হয়ে আওলাদ নামে এক ব্যক্তিকে প্রধান আসামিসহ আরও দুজনের নামে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

ভুক্তভোগী আ. রহমান বলেন, আমরা সাইদার রহমানের পক্ষে কাজ করেছি। আর তাঁরা সঞ্জয়ের পক্ষে করেছেন। সঞ্জয় হেরে যাওয়ায় তাঁরা আমার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকি আমার বাবা এলাকার যে মসজিদে আজান দেন সেই মসজিদের চাবি পর্যন্ত তাঁরা নিয়ে নেন। তাঁরা আমার বাবাকে আজান দিতে দেবেন না। আমার শিশু সন্তান সাইকেল নিয়ে মাদ্রাসায় যেত। রাস্তার বন্ধের কারণে এখন মাদ্রাসায় যেতে পারছে না। আমি এর সঠিক বিচার চাই। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আওলাদ হোসেন বলেন, আমি রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। আপনাদের কি করার আছে করেন। হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিচ্ছি। 

জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাইদার রহমান মোরগ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সঞ্জয় রায় তালা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান। বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় আ. রহমানের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন আওলাদ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। ফলে অন্যের চাষাবাদের জমির আইল দিয়ে কষ্ট করে তাঁদের চলাচল করতে হচ্ছে। 

অভিযুক্তরা হলেন-উপজেলার পূর্ব আমঝোল এলাকার আওলাদ হোসেন (৩৫), শরিফ উদ্দিন (৫৫) ও রফিকুল ইসলাম (২৭)। ভুক্তভোগী আ. রহমান ওই এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।স্থানীয় বাসিন্দা মনছুর বলেন, আওলাদ হোসেন খুবই খারাপ লোক। এলাকার কারও কথা শোনেন না। সবার সঙ্গে তিনি ঝগড়া করেন। রাস্তাটি খুলে দেওয়ার জন্য আমরা তাঁকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। উল্টো তিনি আমাদের হুমকি-ধমকি দেন ও মামলার ভয় দেখান।