বাড়ি অপরাধ দুদকের উপপরিচালক ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে বরখাস্ত হলেন

দুদকের উপপরিচালক ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে বরখাস্ত হলেন

2
দুদকের উপপরিচালক ‘অসদাচরণ এর অভিযোগে বরখাস্ত হলেন

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ‘ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন’ ও ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হলেন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত-১) মো. সালাহউদ্দিন। ১৫ ডিসেম্বর কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করেন।

কমিশনের সাময়িক বরখাস্তের আদেশে বলা হয়, মো. সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং পেনাল কোডের ৩২৩ ধারায় যৌতুকের টাকার জন্য মারপিট করে জখম করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি ফৌজদারি অপরাধের এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালত থেকে জামিন পেলেও বিষয়টি কমিশনকে অবহিত না করে গোপন রাখেন।

মো. সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল কৌশরী গত ২০ অক্টোবর যৌতুকের দাবিতে মারধরের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছিলেন। রাজধানীর খিলগাঁও থানায় করা ওই মামলার ছয় দিন পর ২৬ অক্টোবর সালাহউদ্দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন নেন।

স্ত্রীর করা মামলায় বলা হয়, গত বছরের ২৫ জানুয়ারি ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে জান্নাতুল কৌশরীর সঙ্গে সালাহউদ্দিনের বিয়ে হয়। সালাহউদ্দিনের বাড়ি নরসিংদী, আর জান্নাতুল কৌশরীর বাড়ি দিনাজপুর সদর উপজেলার মুন্সিপাড়ায়। ঢাকায় ফ্ল্যাট কেনার জন্য সালাহউদ্দিন এক কোটি টাকা যৌতুক দিতে চাপ দেন। ১৩ অক্টোবর তাঁকে মারধর করে এক কাপড়ে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে স্ত্রী বাদী হয়ে ২০ অক্টোবর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। পরে তিনি বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানকে জানান।

কমিশনের আদেশে বলা হয়, যেহেতু উপরোক্ত কার্যকলাপে দুর্নীতি দমন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, তাই কমিশনের (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮–এর ৩৯(খ) অনুযায়ী, ‘অসদাচরণ’–এর আওতায় অবিলম্বে তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা যুক্তিযুক্ত ও অপরিহার্য। সেহেতু কমিশনের চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী, মো. সালাহউদ্দিনকে (উপপরিচালক) সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তবে তিনি বিধি অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্তকালীন খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন। এই আদেশ বরখাস্তের দিন থেকে কার্যকর হবে বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ভাই আমি একটি খারাপ পরিবারের একটি সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়েছি। সেখান থেকে বের হতে যাওয়ার খেসারত দিচ্ছি। যেহেতু দুর্নীতি দমন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এবং এর ভাবমূর্তি যাতে কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়, সে জন্য কমিশন বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে। আমি কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’