বাড়ি আইন-আদালত বিচারক কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ

বিচারক কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ

1
বিচারক কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ

রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায় দেওয়া ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা: কামরুন্নাহারকে আজ রবিবার সাড়ে ৯টা থেকে এজলাসে না বসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। বিচারক কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। 

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা: কামরুন্নাহারকে আদালত থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।৭২ ঘন্টার পর ধর্ষণ মামলা নেয়া যাবে না এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার।

দেশে আলোচিত বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ে অভিযুক্ত পাঁচ আসামিকেই খালাস দিয়েছেন বিচারপতি বেগম মোছা. কামরুন্নাহার। রায়ের পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, ‘৭২ ঘন্টা পর ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় না, পুলিশ যেন ৭২ ঘন্টা পর কোনো ধর্ষণের মামলা না নেয়।’ রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক কামরুন্নাহার বলেন, মামলার দুই ভিকটিম আগে থেকেই সেক্সুয়াল কাজে অভ্যস্ত। তারা স্বেচ্ছায় হোটেলে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে সুইমিং করেছেন। ঘটনার ৩৮ দিন পর তারা বললেন, ‘আমরা ধর্ষণের শিকার হয়েছি’। অহেতুক তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। এতে আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া এরপর থেকে ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ মামলা করতে যায়- তা না নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর পুলিশকে মামলা না নিতে বিচারিক আদালতের রায়ের সুপারিশের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর মতামত জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি বলেন, আমি উনার রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। অবজারভেশনে (৭২ ঘণ্টা পরে পুলিশ যেন কোনো ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়) উনি যে বক্তব্য দিয়েছেন এ সম্পর্কে আমি বলতে পারি, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অসাংবিধানিক।