বাড়ি এক্সক্লুসিভ জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো কাবুল

জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো কাবুল

0
জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো কাবুল

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দুইটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে অন্তত ১৯ জন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।মঙ্গলবার কাবুলের ১০ম ডিস্ট্রিক্টে সরদার মোহাম্মদ দাউদ খান সামরিক হাসপাতালের কাছে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের ঘটনায় আরো ৪৩ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গাড়ি বোমা হামলার মাধ্যমে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

তালেবানের সহকারী মুখপাত্র বিলাল কারিমি সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালের প্রবেশ পথে কমপক্ষে দুটি বড় বিস্ফোরণ হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এটি একটি গাড়িবোমা হামলা ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খস্তিরও হামলার খবর নিশ্চিত করেছেন।তবে কতোজন নিহত বা আহত হয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি।

তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায়িত্ব কেউ স্বীকার করেনি। তবে স্থানীয় বাখতার নিউজ এজেন্সি প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানায়, হাসপাতালের কাছে আইএসের যোদ্ধাদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বিনিময় হয়।ঘটনাস্থলে ইতোমধ্যেই তালেবানের বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে এবং ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানানো হয়েছে।

হামলার পর সেখান থেকে আকাশে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক ছবিতে দেখা গেছে, সাবেক কূটনৈতিক জোন ওয়াজির আকবর খানের আকাশে কালো ধোঁয়া উড়ছে।তালেবান দাবি করেছে, এ হামলার সঙ্গে ইসলামিক স্টেট জড়িত রয়েছে। সংগঠনটির জিহাদিরা হাসপাতালে প্রবেশ করে এবং তালেবানের নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে হামলা করে।

আগস্টে আফগান প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের নেয়ার পর থেকে দেশটিতে উগ্রবাদী সংগঠন আইএসের তৎপরতা বেড়েছে। আফগানিস্তানের ওপর তালেবানের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর মোট চারটি হামলায় আইএস দায়িত্ব স্বীকার করে। এর মধ্যে ২৬ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে বহুজাতিক বাহিনীর প্রত্যাহারের মধ্যেই কাবুল বিমানবন্দরে এক বোমা হামলায় ১৩ মার্কিন সৈন্যসহ ১৮০ জনের বেশি লোক নিহত হয়।

আফগানিস্তান ছেড়ে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর এ ধরনের হামলা এখন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তালেবান আফগানিস্তানে কঠিন শরিয়া আইন কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দিলেও আরও কট্টর ইসলামিক স্টেট তাতে সন্তষ্ট নয়। দেশটিতে সক্রিয় ইসলামিক স্টেটের নেতারা সংগঠনটির জিহাদিদের তালেবানের ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। গত কয়েক মাসে তালেবানকে টার্গেট করে একাধিক হামলা চালিয়েছে আইএস।