বাড়ি আইন-আদালত শিশুসন্তানদের নিয়ে একই বাসায় এরিকো–ইমরান

শিশুসন্তানদের নিয়ে একই বাসায় এরিকো–ইমরান

3
শিশুসন্তানদের নিয়ে একই বাসায় এরিকো–ইমরান

আদালতের নির্দেশে গুলশান-১ নম্বরের একটি ভাড়া বাসায় ১৫ দিনের জন্য দুই সন্তানসহ উঠেছেন এরিকো নাকানো ও ইমরান শরীফ দম্পতি। তাঁরা কেমন আছেন জানতে কথা হয় দুই পক্ষের আইনজীবীর সঙ্গে।

২০০৮ সালে জাপানের টোকিওতে এরিকো ও ইমরানের বিয়ে হয়। এরিকো পেশায় চিকিৎসক, ইমরান তড়িৎ প্রকৌশলী। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। এ বছরের শুরুতে এরিকো বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন। এর মধ্যেই ইমরান তাঁর দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। এরপর জাপানের আদালত এরিকোর জিম্মায় সন্তানদের ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। সন্তানদের ফিরে পেতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন এরিকো। আবার ইমরানও বাংলাদেশের পারিবারিক আদালতে সন্তানদের জিম্মা চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন।

ইমরান শরীফের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম বলেন, ‘সন্তানদের নিয়ে আপাতত ভালোই আছেন এরিকো ও ইমরান দম্পতি।’ অন্যদিকে এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির জানান, সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুই সন্তান নিয়ে এরিকো ও ইমরান বুধবার দুপুরে তাঁদের বাসায় পৌঁছান। আদালতের নির্দেশে এরিকো একজন দোভাষী পেয়েছেন। তিনিও গুলশানের ওই বাসায় আছেন। তা ছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তর ও পুলিশ সদস্যরা পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ইমরান শরীফ বলেন, তাঁরা একসঙ্গে আছেন বটে, কিন্তু আছেন প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায়। সন্তানদের জিম্মা নিয়ে সমঝোতামূলক কোনো আলাপ-আলোচনাই হয়নি এখনো। টুকটাক যা কথাবার্তা হচ্ছে, সবই সাংসারিক। বাসায় সারাক্ষণ পুলিশ সদস্যরা আছেন।

এখন পর্যন্ত ইমরানের আশঙ্কা, আদালতের রায় এরিকোর পক্ষে গেলে সন্তানদের নিয়ে তিনি জাপানে চলে যাবেন। আর কখনোই তিনি তাঁর সন্তানদের দেখতে পাবেন না।তবে সন্তানদের নিয়ে এই দম্পতি একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেছেন গতকাল। আজ সকালে এরিকো ও ইমরানের মেয়েরা অনলাইনে স্কুলে ক্লাসও করেছে।

জাপানের আইন দুই অভিভাবকের যৌথ জিম্মা প্রথায় বিশ্বাসী নয়। শিশুরা যেন ধারাবাহিকভাবে এক জায়গায় থাকতে পারে, সেদিকেই মনোযোগ দেওয়া হয় বেশি। শুধু যে বিদেশি নাগরিকেরা ভুগছেন তা-ই নয়, জাপানেও বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তানকে দেখতে পারেন না এমন অভিভাবকের সংখ্যা প্রচুর।

এদিকে পুরো পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখছেন এমন একাধিক সূত্র বলেন, এরিকো ও ইমরানের মধ্যে চরম বিরোধ। নানা ইস্যুতে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল। এই ১৫ দিনে তাঁরা সন্তানদের ব্যাপারে সমঝোতায় আসতে পারবেন কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় আছেন তাঁরা।