বাড়ি অপরাধ পরীমনির জামিন নামঞ্জুর, কাশিমপুরে কারাগারে প্রেরণ

পরীমনির জামিন নামঞ্জুর, কাশিমপুরে কারাগারে প্রেরণ

1
জামিন নামঞ্জুর কারাগারে পরীমনি

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এ আদেশ দেন।

শুক্রবার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান ও এডভোকেট নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু।

দ্বিতীয় দফায় দুদিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে পরীমনি ও দীপুকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা।

অপরদিকে পরীমনির আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ পরীমনির জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।গত ৫ আগস্ট পরীমনিকে বনানী থানার মাদক মামলায় চারদিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।

এর আগে, জামিন আবেদন করেছেন পরীমনির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান। অপরদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় দুই দফা রিমান্ডে পরীমনি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য দিয়েছেন উল্লেখ করে তাকে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা।

আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, ‘মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আসামি শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমনি ওরফে পরীমনিকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি পলাতক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

আদালতে করা আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মামলার অভিযোগের সঙ্গে তার জড়িত থাকার ব্যাপারে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তদন্ত অব্যাহত আছে। মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলহাজতে আটকে রাখা একান্ত প্রয়োজন।’

গত ৪ আগস্ট বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। ওইদিন রাত সোয়া আটটার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।