বাড়ি বিশ্ব সংবাদ আপত্তি ইলন মাস্ক ও রুপার্ট মারডককে পুরস্কার দেওয়ায়

আপত্তি ইলন মাস্ক ও রুপার্ট মারডককে পুরস্কার দেওয়ায়

9
আপত্তি ইলন মাস্ক ও রুপার্ট মারডককে পুরস্কার দেওয়ায়

যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়াত বিচারপতি রুথ বেডার জিনসবার্গের নামে এবারের পুরস্কার প্রদান নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। আপত্তি তুলেছেন বিচারপতির পরিবারের সদস্যরাই। আপত্তির কারণ—এবারের পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক ও মিডিয়া মোগল রুপার্ট মারডক।

এই দুই মার্কিন ধনকুবেরের নাম তালিকায় আসার পর পুরস্কার থেকে জিনসবার্গের নাম প্রত্যাহার করে নিতে চাইছে তাঁর পরিবার। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘পুরস্কারের জন্য এ বছর যাঁদের নির্বাচিত করা হয়েছে, তার মাধ্যমে ওপেরম্যান ফাউন্ডেশন পুরস্কারের প্রকৃত লক্ষ্য এবং বিচারপতি জিনসবার্গ যেসব বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন, সেগুলো থেকে দূরে সরে গেছে।’

জিনসবার্গের পরিবার জানিয়েছে, তারা এই পুরস্কারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এবং চলতি বছরে যাঁদের পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে, তা জিনসবার্গের স্মৃতির প্রতি ‘অবমাননা’। একই সঙ্গে প্রয়াত এই বিচারপতির সাবেক অধীনস্থ কর্মকর্তা ট্রেভর মরিসনের একটি চিঠির প্রতিও সমর্থন জানিয়েছে তারা।

ওই চিঠিতে ট্রেভর মরিসন লিখেছেন, ‘সাবেক বিচারপতি যেসব মূল্যবোধের প্রতি তাঁর পেশাজীবন উৎসর্গ করেছিলেন এবং যে কারণে সারা বিশ্বে তিনি একজন শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছেন, তা এ বছর পুরস্কারের জন্য নির্বাচিতদের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়নি।’

যুক্তরাষ্ট্রের হাইকোর্টে একজন উদারপন্থী বিচারপতি হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন রুথ বেডার জিনসবার্গ। ২০২০ সালে ৮৭ বছর বয়সে মারা যান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের অধিকার, সমলিঙ্গ বিয়ে ও অভিবাসনের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি।

এ বছর ইলন মাস্ক ও রুপার্ট মারডক ছাড়াও টেলিভিশন তারকা মার্থা স্টুয়ার্ট, অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোন ও বিনিয়োগকারী মাইকেল মিলকেনের নাম জিনসবার্গ পুরস্কারের তালিকায় রয়েছে। পুরস্কারের আয়োজক সংস্থা ওপেরম্যান ফাউন্ডেশন গত বুধবার জানিয়েছে, যাঁরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন, তাঁদের নিয়ে এই পুরস্কার উদ্‌যাপন করা হয়।

ওপেরম্যান ফাউন্ডেশনের ভাষ্যমতে, এর আগে এই পুরস্কারের মাধ্যমে নারীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এ বছরে পরিসর বাড়িয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা পুরুষদেরও যুক্ত করা হয়েছে। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জুলি ওপেরম্যান বলেন, ‘বিচারপতি জিনসবার্গ শুধু নারীদের জন্যই নয়, সবার জন্য লড়াই করেছেন।’