বিশ্ব সংবাদ

কে জিতলেন বা হারলেন পাকিস্তানের প্রভাবশালী প্রার্থীরা

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ২২৪টি আসনের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্ররা সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছেন। প্রভাবশালী নেতাদের প্রায় সকলেই আসন পেয়েছেন।

পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রভাবশালী নেতা বিলাওয়াল ভূট্টো জারদারি জাতিয় পরিষদের কাম্বার শাহদাতকত (১৯৬)ও লাহোর আসনে জয় পেয়েছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ লাহোরের প্রাদেশিক পরিষদ ও জাতীয় পরিষদ উভয় আসনেই জয় পেয়েছেন। তবে নওয়াজ শরিফ হেরেছেন একটি আসনে আর জয় পেয়েছেন আরেকটি আসনে।

অপরদিকে নওয়াজ কন্যা মরিয়ম নওয়াজ তার প্রথম নির্বাচনেই লাহোরের আসন থেকে জয় পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হারিয়েছেন তিনি।

পিপিপির আসিফ আলি জারদারিও একটি আসনে জয় পেয়েছেন।

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২২৪টি আসনের মধ্যে স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা পেয়েছেন ৯২টি আসন- যার বেশিরভাগই ইমরান খান সমর্থিত। নওয়াজ শরিফ পিএমএল-এন পেয়েছে ৬৩টি। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী পিপিপি পেয়েছে ৫০টি আসন। বাকি দলগুলো পেয়েছে মোট ১৯টি আসন। ফল ঘোষণা বাকি রয়েছে ৪১টি আসনে।

আইনি বাধার কারণে ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিয়েছেন। দেশটির নির্বাচন কমিশন তাদের দলীয় প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট নিষিদ্ধ করায় একেকজন প্রার্থী ভিন্ন ভিন্ন প্রতীকে ভোটে লড়েছেন।

কোনো দল এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে এবার ১৩৪টি আসনে জিততে হবে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাকিস্তানে এবার কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-ও পেতে পারে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button