বাড়ি খেলা ক্রিকেট এবার নতুন মন্ত্রিসভায় সাবেক ও বর্তমান বিসিবি সভাপতি

এবার নতুন মন্ত্রিসভায় সাবেক ও বর্তমান বিসিবি সভাপতি

0
এবার নতুন মন্ত্রিসভায় সাবেক ও বর্তমান বিসিবি সভাপতি

শেষ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া। সেই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে নতুন মন্ত্রিসভা। যেখানে প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করা নাজমুল হাসান পাপন।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে নতুন মন্ত্রিসভার পূর্ণ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। যেখানে ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রীর তালিকায় জায়গা পেয়েছেন নাজমুল হাসান।

নাজমুল হাসানের নাম ঘোষিত হওয়ার পর আলোড়ন তৈরি হয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। ঘোষিত ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রীর মধ্যে তার নাম থাকলেও নেই মন্ত্রণালয়ের নাম। তবে বিসিবিতে পাপনের ঘনিষ্ঠ অনেকের মতে, সম্ভবত নাজমুল হাসান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন।

এদিকে বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব ও মন্ত্রীত্ব এক সঙ্গে চালাবেন কি না তা নিয়েও শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। যদিও মন্ত্রিত্বের সঙ্গে বোর্ড সভাপতি থাকার বিষয়টি সাংঘর্ষিক নয়। ক্রিকেট বোর্ডে তিনি চার বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি পদে মেয়াদ রয়েছে তার।

এ ছাড়াও অনেকে বলছে ক্রীড়া মন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন তিনি। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। কারণ, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সাধারণত প্রতিমন্ত্রীরা দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তাই সাবেক ক্রীড়া মন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বাদ পড়ায় নতুন কাউকে দেখা যাবে।

অন্যদিকে ঢাকা-৯ আসন থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শপথ নেওয়ার জন্য ফোন পেয়েছেন সাবেক বিসিবি সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীও। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ছিলেন তিনি। তার সময়কালীন ২০০০ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ আইসিসির পূর্ণ সদস্য পদ এবং টেস্ট স্ট্যাটাস পায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন এবং বিশ্ব ক্রিকেটে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০২ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব তাকে আজীবন সদস্যপদ প্রদান করে।

নাজমুল হাসান মন্ত্রী হিসেবে নতুন হলেও দুইবার উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন সাবের হোসেন চৌধুরী। ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৭ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮ পর্যন্ত নৌপরিবহন উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮ থেকে ১৫ জুলাই ২০০১ পর্যন্ত তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।