বাড়ি বিশ্ব সংবাদ স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের পাশে ভারত: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা

স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের পাশে ভারত: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা

0
স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের পাশে ভারত হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা

একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভারত ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। বুধবার মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

৬ ডিসেম্বরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তারিখ হিসেবে উল্লেখ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। তাঁর মতে, ভারত–বাংলাদেশের আজকের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনাবিন্দুতে এই দিনটি।

প্রণয় ভার্মা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ‘ভারত সরকার ও জনগণের অমূল্য অবদান’ থেকে উদ্ভূত আবেগময় বন্ধনকে তুলে ধরে উভয় দেশ ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ বা ‘বন্ধুত্ব দিবস’ হিসেবে পালন করে। মৈত্রী দিবসের আয়োজন ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গভীর ও চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলন।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ইতিহাসে এই দিনটি অনন্য। তিনি বলেন, এটি অংশীদারত্বের সূচনা যা এখন বহুমুখী হিসেবে দেখা হয় এবং সম্পর্কটি কৌশলগত অংশীদারদের ছাড়িয়ে যায়।

প্রণয় ভার্মা বলেন, দুই দেশ কৌশলগত অংশীদারের চেয়েও বেশি কিছু। এটি আত্মত্যাগকারীদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানোর দিন।

দুই দেশের সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়েছে উল্লেখ করে প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘আজ এটি একটি বহুমুখী সম্পর্ক, যা আমাদের সম্পর্কে নতুন গতি যোগ করছে। দুই দেশ সব ক্ষেত্রে নতুন সংযোগ গড়ে তুলছে। বৃহত্তর আশা এবং বৃহত্তর আশাবাদের সঙ্গে সুযোগটি সত্যিই অন্তহীন।’

হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের ইতিহাস ও উত্তরাধিকার সম্পর্কে তরুণদের আকৃষ্ট করতে তারা ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে একটি মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি স্থাপন করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করেন। সেই সফরের সময়ে প্রতিবছরের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ১০ দিন আগে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভারত। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম।

২০২১ সালে ঢাকা ও দিল্লি ছাড়াও বিশ্বের ১৮টি দেশে দিবসটি পালিত হয়। দেশগুলো হলো- বেলজিয়াম, কানাডা, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জাপান, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র।