বাড়ি বিনোদন অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস দ্বিতীয় বিয়ে করছেন?

অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস দ্বিতীয় বিয়ে করছেন?

1
অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস দ্বিতীয় বিয়ে করছেন

ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস। অভিনয় ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা। প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে ঢাকাই শোবিজের অন্যতম চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে সংসার পেতেছিলেন অপু বিশ্বাস। তাদের সংসারে রয়েছে এক ছেলে সন্তান; আব্রাম খান জয়। ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এই সংসারের ইতি টানেন শাকিব। এরপর একই বছরের ২০ জুলাই আরেক ঢাকাই চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর সঙ্গে সংসার শুরু করেন শাকিব। সেই সংসারেও এক সন্তান রয়েছে তাদের। সেই সংসারেরও ইতি টেনেছেন ঢাকাই এই চিত্রনায়ক।

দুই সংসারের ইতি টানলেও তার রেশ এখনো থেকে গেছে। বিভিন্ন সময় শাকিবের এই দুই সাবেক স্ত্রী একে অপরের বিরুদ্ধে কথার লড়াইয়ে নামেন, কখনো কখনো শাকিবের প্রতি অতিদুর্বলতা প্রকাশ করেন। ফলে কোথাও কথা বলার সময় প্রাসঙ্গিকভাবেই বুবলী বা অপুর কাছে শাকিবের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।

ভারতীয় বাংলা সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের সঙ্গে কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস। সেখানেও শাকিব, বুবলী ও বিয়ের প্রসঙ্গ এসেছে। দ্বিতীয় বিয়ে করবেন কিনা এমন প্রশ্নে অপু বলেছেন, যার সন্তান রয়েছে তার দ্বিতীয় বিয়ে করা উচিত না। এতে হয়তো তিনি স্বামী পাবেন তবে সন্তান পাবে সৎ বাবা।

শাকিবের সঙ্গে অপুর সম্পর্কের সমীকরণ প্রসঙ্গে অবতারণা করে সংবাদমাধ্যমটি জানতে চায় সম্পর্ক ঠিক করতে অপুর কোনো বাড়তি আগ্রহ রয়েছে কিনা। এর উত্তরে অপু বলেন, “না, জয়ের বাবাও চান না। তবে জয়ের বাবা নিজের সন্তানের প্রতি খুব স্বচ্ছ। তাই আমার ছেলের কখনো ‘ব্রোকেন ফ্যামিলি’ মনে হয় না।”

কখনো দ্বিতীয় বিয়ের কথা ভেবেছেন কি-না এমন প্রশ্নে এই নায়িকার উত্তর, “না কখনো ভাবিনি। দ্বিতীয় বিয়ের দরকারটা কী? বাংলাদেশে আমার এমন একটা জায়গা রয়েছে, যেখানে সকলে ভাবেন অপু যা-ই করবেন তার মধ্যে একটা বার্তা থাকবে। সেই দিক থেকে দর্শকের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। একটা মেয়ে, যার সন্তান আছে সে কেন দ্বিতীয় বিয়ে করবে? দ্বিতীয় বিয়েতে সে হয়তো স্বামী পাবে, সামাজিক পরিচিতি পাবে। কিন্তু সন্তান একজন সৎবাবা পাবে! সন্তানের প্রতি ওই বাবা সমান ভালোবাসা দেবেন না। তাই আমি মনে করি, দ্বিতীয় বিয়ে করবই না! তা হলে সন্তান তার নিজের বাবাকেই পাবে, অন্য কাউকে বাবা বলতে হবে না। তাই যেকোনো একজনকে আত্মত্যাগ করতেই হয়, তাতে ভুল কিছু নেই। মা হিসেবে আত্মত্যাগ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”