বাড়ি উন্নয়ন আমাদের বিরোধীরা চোখ থাকতে অন্ধ,তারা উন্নয়ন দেখেও না দেখার ভান করে

আমাদের বিরোধীরা চোখ থাকতে অন্ধ,তারা উন্নয়ন দেখেও না দেখার ভান করে

0
আমাদের বিরোধীরা চোখ থাকতে অন্ধ তারা উন্নয়ন দেখেও না দেখার ভান করে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের উন্নয়ন অনেকের চোখে পড়ে না। তাদের হয় চোখ নষ্ট। যদি চোখ নষ্ট হয়, তাহলে চোখের ডাক্তার দেখাতে পারে। আমরা ভালো আই ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। তাহলে তারা দেখতে পারবে।’

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম যোগাযোগ পথের (টানেল) একটি সুড়ঙ্গের (টিউব) পূর্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার সকালে এই পূর্ত কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেখানেই কথাগুলো বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওরা অর্থ চোরাচালান করতে পারবে, ওই ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানি করতে পারবে। ও রকম অস্ত্র অর্থ চোরাচালানি, অর্থ আত্মসাৎ এগুলো পারবে। তারা মানুষের কল্যাণে কাজ করেনি, ভবিষ্যতেও করতে পারবে না, এটা হলো বাস্তবতা।

পূর্ত কাজের উদ্‌যাপন উপলক্ষে টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে মঞ্চ তৈরি করা হয়। এই প্রান্তে সাজসজ্জা করা হয়। ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ডে টানেলের বিভিন্ন কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।

পূর্ত কাজ সমাপ্তি উপলক্ষে আজ সকালে টানেলের চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা প্রান্তে উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি চোখ থাকতে অন্ধ হয়, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। আমি মনে করি যে আমাদের অপোজিশন (বিরোধীরা) চোখ থাকতে অন্ধ। তারা দেখেও না দেখার ভান করে। কারণ, তারা নিজেরা কিছু করতে পারেনি। ভবিষ্যতেও কিছু করতে পারবে না। দেশকেও দিতে পারবে না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বক্তব্য দেন।প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের পর ক্ষমতায় থাকা সরকারগুলো চট্টগ্রামের জন্য কিছু করেনি। চট্টগ্রামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অফিস ঢাকায় চলে আসে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর চট্টগ্রামকে আবার নতুনভাবে গড়ে তোলে। চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।