বাড়ি Bangla News যাত্রাবাড়ীতে পৃথক ঘটনায় দুই স্কুল ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে

যাত্রাবাড়ীতে পৃথক ঘটনায় দুই স্কুল ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে

0
2022 10 24 114417

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পৃথক ঘটনায় দুই স্কুল ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরা হলো পশ্চিম যাত্রাবাড়ীর ওয়াসা রোডের মুনিরা আক্তার (১০) ও মাতুয়াইলের হাফসা আক্তার জেরিন (১৬)।রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে পশ্চিম যাত্রাবাড়ী ওয়াসা রোড ১৫২/২ নম্বর বাড়িতে গলায় ফাঁস দেয় মুনিরা।

মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত সাড়ে ১১টায় মৃত ঘোষণা করেন তাকে।শিশুটির বাবার নাম মোসলেউদ্দিন। যাত্রাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে মুনিরা। ১ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সে ছিলো সবার ছোট।

মুনিরার বাবা মুসলেউদ্দিন জানান, রাতের খাবার খেতে মুনিরাকে ডাক দিলে আসতে একটু দেরি করছিল; তাই তিনি বকা দেন। এরপর সবাই খাবার খেতে বসলেও মুনিরা খাবার টেবিলে না আসায় তাকে খুঁজতে গিয়ে কোথাও না পেয়ে দেখেন টয়লেটের দরজা বন্ধ। সন্দেহ হলে দরজা ভেঙে দেখেন মুনিরা গ্রিলের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মুনিরা খুব জেদি এবং অভিমানী ছিল বলে জানান স্বজনরা।এদিকে, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গলায় ফাঁস লাগানোর পর মাতুয়াইলের বাসা থেকে হাফসা আক্তার জেরিনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।জেরিনপিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার হেমায়েত উদ্দিনের মেয়ে। বর্তমানে মাতুয়াইল ডিএনডি রোডের নানা বাড়িতে মাসহ থাকত। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জেরিন দ্বিতীয়।

জেরিনের মা শাহানা সুলতানা শিল্পী জানান, জেরিনের বাবা অনেক বছর আগেই তাদের রেখে চলে গেছেন। এরপর থেকে সন্তানদের নিয়ে তিনি বাবার বাসায় থাকেন। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত জেরিন। পরীক্ষায় একটি বিষয়ে ফলাফল খারাপ হওয়ায় দুপুরে বড় বোন তাকে বকাঝকা করে। বিকেলে জেরিনের বড় বোন টিউশনি করতে যান।

জেরিন ও তার দুই ভাইকে ঘরে রেখে কাজে বেরিয়ে যান মা। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন একটি রুমে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে রেখেছে জেরিন। দরজা ভেঙে দেখতে পান ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে সে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর দুটি ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।