গোপনে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচনে প্রকাশ্যে অনিয়ম হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, ‘গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি। মূল অ্যাকশন হিসেবে আমরা কেন্দ্র বন্ধ করেছি। এখন চাকরিবিধি অনুযায়ী বা অন্য বিধি অনুযায়ী কী অ্যাকশন নেবো তা পরবর্তীতে দেখবো।
আমরা টেলিফোনে এসপি, ডিসি, রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি, আমরা এখান থেকে সিসি ক্যামেরায় দেখতে পেয়েছি। তাই সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। কমিশন যদি মনে করে নির্বাচন সঠিকভাবে হচ্ছে না তাহলে কমিশন নির্বাচন বন্ধ করতে পারে। আমরা সেই আলোকে নিদ্ধান্ত নিচ্ছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যখন নেবো, তখন জানাবো
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবনে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সিসিটিভি ক্যামেরায় সরাসরি নির্বাচনপর্যবেক্ষণ করছি। আমরা এ পর্যন্ত ৪৬টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। কী কারণে ৪৬টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হলো সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনিটরে যেটা দেখছি ব্যাপক অনিয়ম। বিশেষ করে গোপন পক্ষে ভোটার ছাড়া অনধিকার প্রবেশ বা আইনভঙ্গ করে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি।
অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা- এবিষয়ে সিইসি বলেন, সেটা আমরা বিশ্লেষণ করবো। কিন্তু আমরা যেটা দেখেছি সেটার অ্যাকশন আমরা নিয়েছি। সেটা হলো আমরা ভোট বন্ধ করে দিয়েছি। নির্বাচন বন্ধের কোনও সিদ্ধান্ত নিবেন কিনা অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা দেখছি, দ্রুতই এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেব।
ভোটকক্ষে ঢুকে যারা ভোট দিচ্ছে- আপনারা যে বলেছিলেন ডাকাত এরাই কী সেই ‘ডাকাত’- এ বিষয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, যারা আইন মানেন না, তাদেরকে অবশ্যই আমরা দুর্বৃত্ত বলতে পারি, ডাকাত বলতে পারি। আমাদের সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আমাদেরকে নির্বাচনের সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে, তাছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন এখানে বসে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না্।