বাড়ি বাংলাদেশ শিক্ষাঙ্গন রাজপথে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

রাজপথে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

0
রাজপথে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। এমপিও নীতিমালায় শিক্ষকদের বদলি চালুর জন্য আলাদা নীতিমালা করার কথা বলা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ পরিস্থিতিতে বদলি চালুর দাবিতে রাজপথে নেমেছেন শিক্ষকরা।শুক্রবার সকালে বদলি ব্যবস্থা চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ‘এনটিআরসিএ নিবন্ধিত শিক্ষকদের বদলি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এ মানববন্ধন পালন করা হয়েছে।মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা বদলি না থাকায় বিপাকে আছেন। বিশেষ করে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে দূর-দূরান্তে নিয়োগ নিয়ে কর্মরত শিক্ষকরা আরও বিপাকে।

চাকরিতে বদলির সুযোগ কর্মীর অধিকার, অপরদিকে কর্তৃপক্ষের হাতিয়ার। সুযোগ থাকলে যেমন কর্মী উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে তার পছন্দমতো স্থানে বা দপ্তরে যেতে পারেন, তেমনি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে বা শাস্তিস্বরূপ কর্মীকে অন্য কোথাও বদলি করতে পারে।তারা আরও বলেন, বেসরকারি শিক্ষকরা যা বেতন পান তাতে নিজ বাড়ি থেকে দূরে অবস্থান করে জীবনধারণ করা মোটেও সম্ভব নয়! বদলি বা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের জীবনে স্বস্তি আসবে।

শিক্ষকরা বলেন, এমপিও নীতিমালা অনুসারে নিবন্ধনধারী এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা অন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন। নতুন শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রতিবার বিজ্ঞপ্তি দেয়ার আগে বিদ্যমান শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের একটা সুযোগ দেয়া উচিত। প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের এ সুযোগ পাওয়া শিক্ষকদের অধিকার। ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে গিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবেন এটি মোটেও সম্মানজনক নয়।

শিক্ষকরা আরও বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান শূন্য আসনে নতুন নিয়োগের আগে স্বেচ্ছায় বদলির আবেদন চেয়ে এনটিআরসিএ প্রয়োজনমত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সমজাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমপদে ও একই বিষয়ে কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনলাইনে চয়েজ দিয়ে আবেদন করার সুযোগ দেয়া যেতে পারে।

বদলি কার্যকর হবার পর যেসব প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদ সৃষ্টি হবে সেগুলোতে বিধিমোতাবেক নতুন নিয়োগ দেয়া হলে হ্রাস পাবে শূন্য পদ নির্ধারণের জটিলতা। কিছুটা হলেও লাঘব হবে বদলি প্রত্যাশী শিক্ষকদের কষ্ট।

বাংলা ম্যাগাজিন /এনএইচ