Advertise
ক্রিকেটখেলাবাংলাদেশ

সান্ত্বনার জয় পেল তামিম ইকবাল বাহিনী

প্রথম দুই ওয়ানডে হেরে আগেই সিরিজ খুঁইয়েছে সফররত বাংলাদেশ। তাই তৃতীয় ওয়ানডেটি ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচ। হারারে ক্রিকেট ক্লাবে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সান্ত্বনার জয় পেল তামিম ইকবাল বাহিনী।

ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২৫৬ রান তোলে টাইগাররা। জবাবে মাত্র ১৫১ রানে গুটিয়ে যায় রোডেশীয়রা।রান তাড়া করতে নামা জিম্বাবুয়েকে শুরুতেই কোণঠাসা করে রাখে বাংলাদেশের বোলাররা। সেখান থেকে আর চাপ কাটিয়ে ওঠা হয়নি স্বাগতিকদের। জিম্বাবুয়ে দলের ভরসার একমাত্র প্রতীক সিকান্দার রাজার বিদায়ের পরেই জয়ের দিকে ধাবিত হয় বাংলাদেশ।

Advertise Watch BPL 2024

তবে অপেক্ষা করতে শেষ উইকেট পর্যন্ত।ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে হাসান মাহমুদের করা বলে প্রথম ওভারে শূন্যরানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার কাইতানো। পরের ওভারে মারুমানিকে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে টানা দুই বলে দুই ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠান অভিষিক্ত বোলার ইবাদত হোসেন। আর পরের দুই উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ফলে ৪৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দল।প্রথম ছয়জন ব্যাটারের মধ্যে মাত্র দুইজন দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পেরেছেন।

Advertise

ইনোসেন্ট কায়ার ব্যাট থেকে এসেছে ১০ রান। আর ১৩ রানে আউট হন টনি মুয়োঙ্গা। ১ রানে মারুমানি, ১ রানে ম্যাধভের ও শূন্যরানে আউট হয়েছেন সিকান্দার রাজা। এছাড়া ১৫ রানে লুক জংউই, ২৪ রানে ক্লিভ মাদানদি, ২ রানে ব্রাড ইভান্স ও ২৬ রানে আউট হন ভিক্টর নিয়োচি। আর ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন রিচার্ড এনগারাভা।বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান।

এছাড়া তাইজুল ও ইবাদত দুটি করে এবং হাসান মাহমুদ ও মেহেদি মিরাজ একটি করে উইকেট পেয়েছেন।এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান জিম্বাবুইয়ান দলনেতা সিকান্দার রাজা। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরেছেন তামিম ইকবাল খান। আউট হওয়ার আগে করেন ১৯ রান।

পরের ওভারে শূন্যরানে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হাসান শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। তাতে চাপে পড়ে দল।চতুর্থ উইকেটে বড় জুটিতে দলকে চাপমুক্ত করার দায়িত্ব নেন এনামুল হক বিজয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এর মাঝে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন বিজয়।

ব্যক্তিগত ইনিংসকে নিয়ে যাচ্ছিলেন শতকের পথে। কিন্তু ৭৬ রানে কটবিহাইন্ড হন তিনি। ৭১ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ছয়টি চার ও চারটি ছয়ে সাজানো।এর কিছুক্ষণ পরেই আউট হয়ে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আউট হওয়ার আগে ব্যাট হাতে তুলেছেন ৬৯ বলে ৩৯ রান। আর মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ রান। এছাড়া তাইজুল করেন ৫ রান।

আর রানের খাতা খুলতে পারেননি হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।এদিকে পঞ্চম উইকেটে খেলতে নামা আফিফ হোসেন একাই খেলে যান শেষ পর্যন্ত। সেই সঙ্গে তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮৫ রানে। মাত্র ৮১ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ছয়টি চার ও দুটি ছয়ে সাজানো। আর কোনো রান না করে অপরাজিত থাকেন ইবাদত হোসেন।

বাংলা ম্যাগাজিনে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Back to top button