বাড়ি অর্থ ও বাণিজ্য অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে

অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে

17
fgsdfgg

বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমছে, বাংলাদেশে উল্টো বাড়ানো হয়েছে। এই অবস্থায় বিশ্ববাজারে টিকে থাকা আমাদের জন্য কস্টকর হবে। পুরোনো অর্ডারগুলোতে প্রচুর লস হবে। অনেক কারখানা নতুন অর্ডার নিতে পারবে না। ফলে তা বন্ধ হয়ে যাবে।

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পরিণতি কী হতে পারে— এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসব কথা বলেন দেশের তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কারখানায় গ্যাংস সংকট চলছে। সরকার নির্দেশিত লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ থাকে না ৫-৬ ঘণ্টা। এ কারণে দিনে ৬ ঘণ্টার জন্য জেনারেটর ব্যবহার করতে হয়।

জেনারেটরের ব্যবহার বাড়ায় বেশি জ্বালানি তেল ব্যবহার করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পোশাক খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, আমাদের হাতে প্রচুর অর্ডার রয়েছে। বড় অঙ্কের লস দিয়ে এসব অর্ডারের পণ্য উৎপাদন করতে হবে।তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশে পরিবহন ভাড়া বাড়বে, ট্রাক ভাড়া বাড়বে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি।

এসবের সঙ্গে শ্রমিকদের বেতনও বাড়াতে হবে। লস থেকে বেঁচে থাকতে হলে অনেক কারখানা বন্ধ করা ছাড়া কেনো উপায় থাকবে না।ফারুক হাসান বলেন, আমাদের অর্থনীতি টিকে আছে ফরেন এক্সচেঞ্জের (বৈদেশিক মুদ্রাবিনিময়) ওপর। গত বছর যে রপ্তানি আয় হয়েছে তার ৮২ শতাংশই এসেছে পোশাক খাতের মাধ্যমে। এ কারণে এখনও মুদ্রাস্ফীতি আমাদের সেভাবে বাড়েনি।

কিন্তু নতুন করে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ফলে বিশ্ববাজারে আমাদের টিকে থাকা কষ্টকর হবে। দেশের স্বার্থে এই মুহূর্তে প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও তেলের দাম স্থিতিশীল রাখা উচিত ছিল।জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এ বছর যে পরিমাণ রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেই টার্গেট অর্জন করা যাবে না। পুরোনো অর্ডারগুলোতে অনেক লস হবে। নতুন করে প্রোডাকশনে যাওয়া যাবে না।

ফলে রপ্তানিতে পিছিয়ে যাব বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসানশুক্রবার রাত ১২টার পর জ্বালানি তেলের নতুন দাম কার্যকর করেছে সরকার। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, পেট্রোলের দাম ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা এবং অকটেনের দাম ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়েছে।

পোশাক খাতে সরকারের এ সিদ্ধান্তের পরিণতি কেমন হতে পারে— এ বিষয়ে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এ বছর যে পরিমাণ রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেই টার্গেট অর্জন করা যাবে না। পুরোনো অর্ডারগুলোতে অনেক লস হবে। নতুন করে প্রোডাকশনে যাওয়া যাবে না। ফলে রপ্তানিতে আমরা পিছিয়ে পড়ব।তিনি আরও বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে বাস ভাড়া-ট্রাক ভাড়া বাড়বে।

বাড়বে জিনিসপত্রের দামও। ফলে লস কমাতে কারখানা বন্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। এজন্য সরকারের উচিত চিন্তা-ভাবনা করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা।পোশাক খাতের তরুণ উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন রুবেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের সবকিছুই ঊর্ধ্বমুখী।

বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ফলে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এখন আবার জ্বালানির দাম বাড়ায় বাজার প্রতিযোগিতায় তার প্রভাব পড়বেই, এতে কোনো সন্দেহ নেই।