এক্সক্লুসিভধর্ম ও জীবন

পবিত্র রমজান মাসে প্রতিটি মুমিনের উচিত বেশি বেশি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা

দোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। এটি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। যারা তাঁর কাছে দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য চায়, তিনি তাদের ওপর খুশি হন, আর যারা চায় না, তিনি তাদের ওপর রাগান্বিত হন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের রব (আল্লাহ) বলেন, তোমরা আমার কাছে দোয়া করো, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব। 

এ জন্য পবিত্র রমজান মাসে প্রতিটি মুমিনের উচিত বেশি বেশি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা। বিশেষ করে ইফতারের সময় অধিক পরিমাণে দোয়া করা উচিত। কারণ মহান আল্লাহ ইফতারের সময় রোজাদার বান্দার দোয়া কবুল করেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন ধরনের লোকের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ১. রোজাদার যখন ইফতার করে, ২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের  দোয়া, ৩. মজলুমের দোয়া। মজলুম ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ মেঘমালার ওপর উঠিয়ে নেন এবং এ জন্য আসমানের সব দরজা খুলে দেওয়া হয়। আল্লাহ বলেন, আমার ইজ্জতের কসম! আমি তোমাকে অবশ্যই সাহায্য করব, যদিও তা কিছুকাল পরে হয়। ’  (তিরমিজি, হাদিস  : ৩৫৯৮)

মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা কোরআনে বলেন, ‘যারা অহংকারবশত আমার ইবাদত থেকে বিমুখ, তারা অবশ্যই লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। ’ (সুরা : মুমিন, আয়াত : ৬০)রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক সম্মানিত কোনো জিনিস নেই। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৮২৯)

এই মাসের প্রতিটি রাতেও আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজ অনুগ্রহে অসংখ্য বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, …আর একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে, হে কল্যাণের প্রত্যাশী, অগ্রসর হও, হে অকল্যাণের প্রার্থী, থেমে যাও। আর আল্লাহ তাআলা এ মাসের প্রতি রাতে অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দান করেন। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৮৭৯৪)

রমজানের প্রতিটি মুহূর্তই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রমজানের পরিপূর্ণ বরকত অর্জনের জন্য সুযোগ পেলেই ইবাদতে আত্মনিয়োগ করা উচিত। মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত। কারণ আমার রোজা, সাহরি-ইফতার ও অন্যান্য ইবাদত আল্লাহর কাছে কবুল করানোর জন্য দোয়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দোয়া ইবাদতের মূল। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৭১)

রমজানের একটি বিশেষ রাত আছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। আর তা হলো, লাইলাতুল কদর। মুমিনের উচিত, রমজানের প্রতিটি রাতেই লাইলাতুল কদরের ফজিলত পাওয়ার আশায় দোয়া, জিকির, তিলাওয়াত ইত্যাদি করা। কারণ আমরা কেউ-ই নির্দিষ্ট করে জানি না, সে রাতটি কোন রাত। তাই সে রাতের কল্যাণ অর্জনের জন্য রমজানের প্রতিটি রাতকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রমজান এলেই আল্লাহর রাসুল (সা.) সাহাবাদের বলতেন, ‘তোমাদের কাছে এই মাস সমাগত হয়েছে, তাতে এমন একটি রাত রয়েছে, যা এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে প্রকৃতপক্ষে সব কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত। একমাত্র দুর্ভাগাই এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৪৪)

আরও দেখুন
Back to top button
এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে ‘হানি ট্র্যাপ’ শিলাস্তি রহমান ‘Pushpa 2’ is coming to Bangladesh in Hindi ইব্রাহিম রাইসি যেভাবে ৫০০০ মানুষকে হত্যা করেছিলো Bangladeshi mountaineer Babar Ali climbs Mount Everest