অপরাধখুলনা

ধর্ষণের অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর আলম গ্রেপ্তার

খুলনায় ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নগর গোয়েন্দা শাখার এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে। ভোররাতে তাকে খুলনার যশোর রোডের সুন্দরবন হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সে চুয়াডাঙ্গার বিষ্ণুপুর উপজেলার দামুড়হুদা গ্রামের মো. আতিয়ার রহমানের ছেলে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে সদর থানা পুলিশ।

খুলনা থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, বাগেরহাটের মোংলা থেকে অসুস্থ মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর জন্য মঙ্গলবার বিকেলে মা-মেয়ে খুলনায় আসেন। তারা নগরীর শহীদ হাদিস পার্কের পার্শ্ববর্তী হোটেল সুন্দরবনের ১৩ নং কক্ষে ওঠেন। রাত আড়াইটার দিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর জোরপূর্বক মা-মেয়ের কক্ষে যান। এরপর অসুস্থ মেয়ের সামনে তার মাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তার চিৎকারে হোটেলের ম্যানেজার এগিয়ে যান। তিনি গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও খুলনা থানায় ফোন করেন। এরপর খুলনা থানা পুলিশ গিয়ে এসআই জাহাঙ্গীরকে আটক করে। 

রাত সোয়া ২টার দিকে গোয়েন্দা শাখার এসআই জাহাঙ্গীর আলম হোটেল বয় গোলাম মোস্তফাকে ডেকে নিয়ে ভিকটিমের (৩১৩নং) কক্ষে ধাক্কা দিতে থাকে।সে নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে। দরজা খোলার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসা করেন সঙ্গে কে আছে। উত্তরে তিনি জানান, আমার সঙ্গে ১১ বছরের কন্যা রয়েছে। এরপর ওই নারীর সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম অসদাচারণ করতে থাকে। এ সময় চিৎকার শুরু করলে তার মেয়েকে ধর্ষণ করার হুমকি দেয় জাহাঙ্গীর। পরে ভয়ভীতি দিয়ে মেয়ের সামনে মাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে জাহাঙ্গীর আলম।

এ ঘটনায় রাত ৪টার দিকে ওই নারী বাদী হয়ে খুলনা থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। এসআই জাহাঙ্গীরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ডেপুটি কমিশনার বি এম নুরুজ্জামান জানান, ঘটনার সময় এসআই জাহাঙ্গীর মাতাল ছিল।

Back to top button