বাড়ি এক্সক্লুসিভ ভারতে সংবিধান দিবস বর্জন করল তৃণমূল কংগ্রেসসহ ১৪টি বিরোধী দল

ভারতে সংবিধান দিবস বর্জন করল তৃণমূল কংগ্রেসসহ ১৪টি বিরোধী দল

1
ভারতে সংবিধান দিবস বর্জন করল তৃণমূল কংগ্রেসসহ ১৪টি বিরোধী দল

ভারতে সংবিধান দিবস বর্জন করল কংগ্রেস, বামপন্থী, তৃণমূল কংগ্রেসসহ মোট ১৪টি বিরোধী দল। আজ শুক্রবার সংসদ ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান বর্জন করে বিরোধীরা বলেন, যে দল সংবিধানকে পদে পদে অবহেলা ও উপেক্ষা করছে, তাদের ঘটা করে সংবিধান দিবস পালন অর্থহীন। এটা প্রধানমন্ত্রীর নিছক জনসংযোগ (পিআর) অনুষ্ঠান।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সাল থেকে সংবিধান দিবস পালন শুরু করেন। এই দিনে ভারতীয় সংবিধানপ্রণেতা বি আর আম্বেদকরের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এই অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের নাম না নিয়ে তাদের আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ভারত এক সংকটের মধ্য দিয়ে চলেছে, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, পরিবারকেন্দ্রিক দল, যা শুধু পরিবারের কথা ভাবে, তা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী দেখুন, পরিবারকেন্দ্রিক দল গণতন্ত্রের পক্ষে অমঙ্গলজনক। যাঁরা সংবিধান রক্ষার পক্ষে, তাঁদের পক্ষে উদ্বেগের। ভারত এই গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে চলেছে।

বিরোধীদের অভিযোগ, মোদি সরকার প্রতি পদে সংবিধান লঙ্ঘন করছে, অবমাননা করছে। সাংবিধানিক পদের মর্যাদাহানি করছে। অথচ তারাই ঘটা করে সংবিধান দিবস পালন করছে। গত বৃহস্পতিবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে এই অনুষ্ঠান বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্তে ১৪টি বিরোধী দল সহমত হয়।

কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাগড়ে এই প্রসঙ্গে বলেন, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার কোনো কারণই নেই। কোনো আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ নেই। বিরোধীদের কোনো ভূমিকা নেই। কারও কিছু বলার স্বাধীনতাও নেই।বিভিন্ন কারণে সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের তিক্ততা বেড়ে চলেছে। প্রথা অনুযায়ী এই প্রথম ১৪ নভেম্বর ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর জন্মবার্ষিকীতে সংসদ ভবনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন না প্রধানমন্ত্রী। এমনকি লোকসভার স্পিকার ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানও ওই অনুষ্ঠানে হাজির হননি।

প্রধানমন্ত্রী পরিবারতন্ত্রের ব্যাখ্যাও করেন। তিনি বলেন, এর অর্থ এই নয় যে রাজনীতিকের পরিবারের কেউ রাজনীতিক হতে পারবেন না। পরিবারের একজনের বেশি রাজনীতিতে থাকতে পারবেন না। যোগ্যতা থাকলে মানুষের আশীর্বাদ থাকলে নিশ্চয় পারবেন। কিন্তু কোনো দল প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে একই পরিবার দ্বারা শাসিত ও চালিত হলে গণতন্ত্রের পক্ষে তা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।