বাড়ি Bangla News শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত পিছিয়ে রোববার

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত পিছিয়ে রোববার

1
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত পিছিয়ে রোববার

করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধের পর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। কবে খুলতে পারে, সে বিষয়ে আগামী রোববার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ওই দিন আন্তমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠক পেছাল। আগামী রোববার হবে বৈঠকটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বুধবার বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল। অনিবার্য কারণে তা পেছানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি চলছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি আছে। জাতিসংঘ শিশু তহবিল বা ইউনিসেফের গত ২৪ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর কারণে স্কুল বন্ধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম দেশ। দীর্ঘ বন্ধের ফলে প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

‘দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে গেছে। সে ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেয়া যায় সে সংক্রান্ত আমরা কিছু পরিকল্পনা তৈরি করেছি। বৈঠকে আমরা তা উপস্থাপন করব। এসব পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সকল সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।’শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ ১০ শতাংশের নিচে নামলে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বার খুলে দেয়া হতে পারে।’

প্রায় সবকিছু খুলে দেওয়ার পর এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। ১৮ আগস্ট সচিব সভায় করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ও টিকা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২৬ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক সভায় পরিকল্পনা করা হয়, টিকা দেওয়া দেওয়া সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরা আগামী ১৫ অক্টোবরের পর থেকে খুলতে পারবে।

গত ২৬ আগস্ট আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যেতে পারে। তার আগে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন তার তথ্য ছক আকারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠাতে হবে। তার মধ্যে কতজন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, আর কতজন এক ডোজ নিয়েছেন, আবাসিক হলের কতজন শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছেন এ সংক্রান্ত তথ্য ইউজিসিতে পাঠাতে হবে।এরপর গত রোববার ইউজিসি থেকে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি দিয়ে পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে।

দেশে করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির বিস্তার রোধে ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।