এক্সক্লুসিভখেলা

গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ টোকিও অলিম্পিক শেষ হলো

গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ টোকিও অলিম্পিকের পর্দা নামলো।শেষ হলো মহা কর্মযজ্ঞ। ৫ বছর ধরে বিশাল আয়োজন। বাস্তবায়ন হলো মাত্র ১৬ দিনে। জাপানের রাজধানী টোকিওতে বসেছিল ১১ হাজারেরও বেশি অ্যাথলেটের মিলনমেলা। সঙ্গে ছিল আরো কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারি। আয়োজক, সম্প্রচারক, স্বেচ্ছাসেবক থেকে শুরু করে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষের কর্মযজ্ঞ।আবারও দেখা হবে ২০২৪ সালে। 

জাপানের টোকিওতে এবার আয়োজিত অলিম্পিক গেমসের আসরটি হচ্ছে ৩২তম। শুরু হয় ২৩ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট, মোট ১৬ দিনে ৫০টি ডিসিপ্লিনে মোট ৩৩৯টি স্বর্ণের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। এবারের অলিম্পিকে শীর্ষে আছে আমেরিকা। তাদের অর্জনের তালিকায় ১১৩টি মেডেল। যার মধ্যে ৩৯টি স্বর্ণ। ৮৮টি পদকের মধ্যে ৩৮টি স্বর্ণ জয় করে চীন আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। জাপান তৃতীয় এবং চতুর্থ অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য।

এবারের টোকিও অলিম্পিক গেমস ছিল সত্যিই স্পেশাল। করোনা মহামারির কারণে একটি বছর পিছিয়ে দেয়া হলো। ২০২০ সালের পরিবর্তে নিয়ে আসা হয় ২০২১ সালে। এবারও গেমস আয়োজন করা যাবে কি না, তা নিয়ে ছিল তুমুল সংশয়। কারণ জাপানে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল করোনা সংক্রমণ।

এবারের আসরে সবচেয়ে সফল ক্রীড়াবিদ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৫টি স্বর্ণপদক জিতেছেন মার্কিন সাঁতারু কেলেব ড্রেসেল। আর সবচেয়ে বেশি ৭টি পদক জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার নারী সাঁতারু এমা ম্যাককিওন। ১৯৭৬ অলিম্পিকে রোমানিয়ার জিমন্যাস্ট নাদিয়া কোমানচির পর এবারের আসরে ‘পারফেক্ট’ টেন স্কোর করে ইতিহাস গড়েন চীনের কিশোরী ডাইভার কুয়ান হংচেন।

টোকিও অলিম্পিক গেমস আয়োজক কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছিল জরুরি অবস্থা জারি থাকলেও গেমস আয়োজন করা হবে। অবশেষে সব বাধা-বিপত্তি দুরে ঠেলে দিয়ে জ্বালানো হলো টোকিও গেমসের মশাল। জাপানের গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী টেনিস খেলোয়াড় নাওমি ওসাকার হাতে জ্বলে ওঠে গেমসের মশাল। জাপানের সম্রাট নারুহিতো অলিম্পিকের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

সিরিয়ার টেবিল টেনিস খেলোয়াড় হেন্দ জাজা ছিলেন এবারের অলিম্পিকের সর্বকনিষ্ঠ এ্যাথলেট (১২ বছর)। আর বয়োজ্যেষ্ঠ এ্যাথলেট ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসেজ রাইডার ম্যারি হান্না (৬৬ বছর)।অলিম্পিকের ইতিহাসে ভাই-বোন জুটির স্বর্ণজয়ের ঘটনা এবারই দেখা গেছে। তারা হলেন জাপানের দুই ভাই (হিফুমি আবে)-বোন (উতাআবে)। সিরিয়ার টেবিল টেনিস খেলোয়াড় হেন্দ জাজা ছিলেন এবারের অলিম্পিকের সর্বকনিষ্ঠ এ্যাথলেট (১২ বছর)। আর বয়োজ্যেষ্ঠ এ্যাথলেট ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসেজ রাইডার ম্যারি হান্না (৬৬ বছর)।

গেমস চলাকালীন তবুও সংক্রমণের কমতি ছিল না। উল্লেখযোগ্যসংখ্যাক অ্যাথলেট করোনা সংক্রমণের শিকার হন। তবুও সংক্রমণের ভয়াবহতা ঠেকাতে দর্শকহীন স্টেডিয়ামেই আয়োজন করা গেমসের বিভিন্ন ইভেন্টের খেলা।

সমাপণী অনুষ্ঠান শেষ হতেই সাদা এবং সোনালী রঙয়ের আতশবাজিতে ভরে ওঠে টোকিও অলিম্পিক স্টেডিয়ামের চারপাশ। দর্শকহীন স্টেডিয়ামে খেলা আয়োজন করার কারণেই এই রঙকে বেছে নেয়া হয় আতশবাজির জন্য। টোকিও অলিম্পিকের সমাপনি অনুষ্ঠানে নানাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে জাপানের সংস্কৃতি, লোকাচার, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উত্থানকে। আগামী অলিম্পিক গেমস ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হবে ফ্রান্সের প্যারিসে।

আরও দেখুন
Back to top button
এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে ‘হানি ট্র্যাপ’ শিলাস্তি রহমান ‘Pushpa 2’ is coming to Bangladesh in Hindi ইব্রাহিম রাইসি যেভাবে ৫০০০ মানুষকে হত্যা করেছিলো Bangladeshi mountaineer Babar Ali climbs Mount Everest