বাড়ি অপরাধ ২ চাপাতি হাতে স্ত্রীকে খুন করতে গেলো

২ চাপাতি হাতে স্ত্রীকে খুন করতে গেলো

0
২ চাপাতি হাতে স্ত্রীকে খুন করতে গেলো

২ চাপাতি হাতে স্ত্রীকে খুন করতে গেলো চট্টগ্রাম নগরীতে দুই হাতে দুই ধারালো চাপাতি নিয়ে স্ত্রীকে খুন করতে যাওয়া এক ব্যক্তিকে কৌশলে নিবৃত্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দাম্পত্য কলহের জেরে সম্মতি না নিয়ে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যাওয়ায় তাকে খুন করতে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। দরজা ভাঙতে দেরি হওয়ায় এবং ততক্ষণে পুলিশ পৌঁছে যাওয়ায় ‘খুনোখুনির’ হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে পরিবারটি। এমনকি পুলিশ দেখে ওই ব্যক্তি নিজের গলায় চাপাতি চালিয়ে আত্মহত্যারও চেষ্টা করে।

শনিবার (৭ আগস্ট) রাতে এমন চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার গোসাইলডাঙ্গা এলাকাতে এ ঘটনা ঘটে।সুজন দাশ (৪২) চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার পূর্ব মেখল আলীপুর গ্রামের সাধন মেম্বারের বাড়ির মৃত সাধন দাশের ছেলে।পুলিশ জানিয়েছে স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে হত্যার উদ্দেশ্যে শ্বশুরের বাসায় গেলেও পুলিশের উপস্থিতি দেখে আত্মহত্যার চেষ্টাও চালান সুজন। ফলে তাকে নিবৃত করা বেশ কঠিনই হয়ে দাঁড়ায় পুলিশের জন্য।

পরিবার নিয়ে সুজন থাকেন নগরীর আসকার দিঘির পাড়ে। সুজনের স্ত্রী সুতৃঞ্চা দাশ পূর্ব গোসাইলডাঙ্গা এলাকার তপন দাশের মেয়ে।ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, ১৩ বছর আগে সুজনের বিয়ে হয় সুতৃষ্ণা দাশের সাথে। এই ঘরে তাদের দুই সন্তান রয়েছে। তারা চট্টগ্রামের আসকারদীঘি এলাকায় থাকেন। সম্প্রতি সুজন আরেক মেয়ের সাথে পরকীয়া করতে গিয়ে স্ত্রীর কাছে ধরা পড়ে যান। এটা নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রায়ই বাকবিতণ্ডা হয়। সর্বশেষ তিন দিন আগে এ বিষয়ে তুমুল ঝগড়া হলে সুতৃষ্ণা পূর্ব গোসাইলডাঙ্গার মিনু ম্যানশনে বাবার বাড়ি চলে আসেন। সুজন বারবার তাকে বাড়ি ফিরে যেতে বললেও সুতৃষ্ণা বাবার বাড়ি ছেড়ে যেতে রাজি হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়েই সুতৃষ্ণা ও তার বাবা-মাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন সুজন।

ওসি মহসীন বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন দুটি চাপাতি কেনেন সুজন। শুক্রবার রাতে যখন ওই দুই চাপাতি নিয়ে মিনু ম্যানশনের পঞ্চম তলায় উঠছিলেন তখন তাকে দেখে ফেলেন সুতৃষ্ণা। ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। সুজন প্রথমে দরজা ধাক্কা দেন। কিন্তু ভেতর থেকে দরজা না খোলায় এলোপাতাড়ি দরজায় কোপাতে থাকেন সুজন। এতে দরজা কিছুটা নড়বড়ে হলে ভেতরে আলনা, টেবিল, সোফা দিয়ে দরজা আটকে রাখেন সুতৃষ্ণা ও তার পরিবার।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অর্ণব বড়ুয়া  বাংলা ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘আমরা সেখানে গিয়ে দেখি, সুজন চাপাতি দিয়ে বারবার দরজায় আঘাত করছে এবং স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমরা ওঠার সময় সে চাপাতি উঁচিয়ে আমাদের দিকেও কয়েকবার তেড়ে আসে। আমরা দূরে দাঁড়িয়ে তাকে বারবার শান্ত থাকার অনুরোধ করি।’ 

এ ঘটনায় সুতৃঞ্চা বাদি হয়ে সুজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার চেষ্টা, হত্যাপ্রচেষ্টা ও হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে তিনি সুজনের বিরুদ্ধে মাদক ও পরকীয়ায় আসক্ত হওয়ার অভিযোগ করেন। ১৩ আগস্ট ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে সুতৃঞ্চা বাবার বাড়িতে এসেছিলেন বলে এতে উল্লেখ করা হয়।